কুয়াকাটা সৈকতে ঝাঁকে ঝাঁকে মৃত জেলিফিশ

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৪০, সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪, ১১ চৈত্র ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

সাগরের পানিতে সহনীয় মাত্রায় লবনাক্ততা থাকায় উপকূলীয় এলাকার জলসীমায় এর আধিক্যতা দেখা দিয়েছে বলে পটুয়াখালী জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। 

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সমুদ্র তটে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য মৃত জেলিফিশ। রোববার (২৪ মার্চ) বিকালের দিকে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে বিভিন্ন সাইজের এ জেলিফিশ।

সাগরের পানিতে সহনীয় মাত্রায় লবনাক্ততা থাকায় উপকূলীয় এলাকার জলসীমায় এর আধিক্যতা দেখা দিয়েছে বলে পটুয়াখালী জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। 

তবে দ্রুত মৃত এ জেলিফিশ অপসারণ করা না হলে কুয়াকাটার পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে এলাকাবাসীদের অনেকে জানিয়েছেন। 

kk-1

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম জানান, অমেরুদণ্ডী জলজ প্রাণিটি জেলিফিশ নামে পরিচিত হলেও এটি কোন মাছ নয়, জেলিসদৃশ প্রাণিটি প্রাণিজগতের নিডোরিয়া পর্বের সিফোজোয়া শ্রেণির অন্তর্গত। তবে সাইফোজোয়ান প্রজাতির জেলিফিশ সমস্ত মহাসাগরে দেখা যায়। জলজ এ প্রাণিটি বেশির ভাগ মাত্র কয়েক সপ্তাহ বেঁচে থাকে। তবে কিছু কিছু এক বছর কিংবা তার বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকে।

এগুলো আকারেও বিভিন্নতা রয়েছে। তবে কুয়াকাটায় ভেসে আসা জেলিফিশগুলো সাইফোজোয়ান প্রজাতির বলে তিনি ধারণা করছেন। কিছুদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে প্রচুর পরিমাণে জেলিফিশ বেড়ে যাওয়ায় সাগরে জেলেদের মাছ শিকারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। 
 
ওয়াল্ড ফিস পটুয়াখালী জেলার সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি জানান, সাগরে কচ্চপের প্রধান খাদ্য হচ্ছে জেলিফিশ। কচ্ছপ কমে যাওয়ায় জেলিফিসের আধিক্যর কারণ। এ ছাড়াও তাপমাত্রা এবং পরিবেশ দূষণের কারণে জেলিফিশ অনেকটা উপরে উঠে এসেছে। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
 
কুয়াকাটার জেলে মো. হাসন আলী বলেন, সাগরে বর্তমানে একেক জনের জালে ৫০ থেকে ৬০টি কিংবা তার চেয়েও বেশি জেলিফিশ ধরা পড়ছে। এতে জেলিফিশের আঠালো পদার্থের কারণে অধিকাংশ জেলের জাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেকের জাল কেটে দিতে বাধ্য হয়েছে।
 
মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার সমবায় সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম জানান, জেলিফিশের কারণে সাগরে খুব কম সংখ্যক জেলে সাগরে যাচ্ছে।
 
কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিত্যানন্দ হাওলাদার জানান, সমুদ্র তটে বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকা জেলিফিশ দ্রুত অপসারণ না করা হলে এগুলো পচেঁ গলে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে।

এদিকে, মৃত জেলিফিশ অপসারণের বিষয়ে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন বলেন, পর্যটকদের যাতে কোনো প্রকার অসুবিধা না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

দিনবদলবিডি/Nasim

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়