বিদায়ী উপাচার্যের ‘অনিয়ম-দুর্নীতি’ প্রশ্নে কৌশলী ডা. দীন মোহাম্মদ

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৪৫, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

 আমি এখানে আসার আগেই আমার কাছে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ইনফরমেশন ইনপুট হচ্ছিল। প্রত্যেকেই একজন আরেকজনকে দোষারোপ করছিল। তার মানে কি এখানে কোনো ভালো লোক নেই? তাহলে কেন সবাই সবার বিরুদ্ধে বলে আসছিল? তারপর আমি বললাম, তোমরা যাদের নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ করে আসছো, তাদের নিয়েই আমি কাজ শুরু করবো।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বিদায়ী উপাচার্যের ‘অনিয়ম-দুর্নীতি’ প্রশ্নে কৌশলী জবাব দিয়েছেন নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কোনো ভালো লোক নেই? যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, আমি তাদের নিয়েই কাজ করতে চাই। আমি মনে করি, প্রত্যেকের মধ্যে ভালো সত্তা আছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে উপাচার্যের দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন উত্তর দেন।

ডা. দীন মোহাম্মদ বলেন, আপনারা জানেন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সিন্ডিকেট কমিটি আছে, ঊর্ধ্বতন চিকিৎসক, কর্মকর্তারা আছেন, সবার সঙ্গে কথা বলেই এটি করতে হবে। আমি তো কেবল দায়িত্ব নিয়েছি। আমাকে আগে বুঝতে হবে, দেখতে হবে।

উপাচার্য বলেন, আমি এখানে আসার আগেই আমার কাছে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ইনফরমেশন ইনপুট হচ্ছিল। প্রত্যেকেই একজন আরেকজনকে দোষারোপ করছিল। তার মানে কি এখানে কোনো ভালো লোক নেই? তাহলে কেন সবাই সবার বিরুদ্ধে বলে আসছিল? তারপর আমি বললাম, তোমরা যাদের নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ করে আসছো, তাদের নিয়েই আমি কাজ শুরু করবো।

উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ বলেন, আমি জানি প্রত্যেক মানুষই ভালো। প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই একটি ভালো সত্তা রয়েছে, আমি সেটাকে আবিষ্কার করবো। আমার সঙ্গে কেউ কাজ করলে সে কোনো দিনই খারাপ হবে না, ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি যে আমি সুনির্দিষ্ট কোনো গ্রুপের লোক নই। আমি আপনাদের সবার। আমার পরিচয় আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক। আমি এদেশের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার লোক। আমি কোনো ধরনের গ্রুপে যেতে চাই না। এ বয়সে আমার কোনো গ্রুপিংয়ের প্রয়োজন নেই। আমাকে যে আস্থা এবং বিশ্বাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা এখানে পাঠিয়েছেন, আমি সেটাকে মূল্যায়ন করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আমার বন্ধু। তিনি আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় নিয়েছেন। আমি শারফুদ্দিন আহমেদকে শুভেচ্ছা জানাই। আমি চেয়ারে না বসেই জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে সম্মান জানাই। আমি মনে করি, আমার এজেন্ডা একটাই। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বিশ্বের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবো।

উদ্বোধনের দীর্ঘ দিন পরও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু না হওয়া প্রসঙ্গে নতুন উপাচার্য বলেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমি অলরেডি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার দায়বদ্ধতা আছে। আমি বিদেশ থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক-ট্রেইনারদেন নিয়ে এসে আমাদের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। আশা করি সেবায় প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের অন্যতম জায়গায় অবস্থান করবে।

দিনবদলবিডি/Nasim

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়