জিম্বাবুয়েকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ রাত ০৮:২৫, রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২, ১৬ শ্রাবণ ১৪২৯
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে সমতা ফেরাল টাইগাররা। জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩৬ রানের। তবে ১৭ ওভার ৩ বলে তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে সমতা ফেরাল টাইগাররা। জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩৬ রানের। তবে ১৭ ওভার ৩ বলে তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

লক্ষ্য ছোট, বাংলাদেশও সেটি পেরিয়ে গেল বেশ অনায়াসেই। মাঝে ৪ বলের মধ্যে লিটন দাস ও এনামুল হককে হারালেও আফিফ হোসেন ও নাজমুল হোসেন ঝুঁকি নেননি আর। লিটনের ৩৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংসেই মূলত কাজটা সহজ হয়ে এসেছিল ব্যাটিংয়ে। ১৫ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ। আফিফ অপরাজিত ছিলেন ২৮ বলে ৩০ রানে, নাজমুল ২১ বলে ১৯ রানে।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ে পড়ে মোসাদ্দেক হোসেনের তোপে। ইনিংসের সপ্তম ওভারেই ৫ উইকেট হারায় তারা, সব কটি উইকেটই নেন মোসাদ্দেক। এরপর সিকান্দার রাজার অর্ধশতক, রায়ান বার্লের সঙ্গে তাঁর ৮০ রানের জুটিতে ১৩৫ রান তুলেছিল জিম্বাবুয়ে। তবে যথেষ্ট হয়নি সেটি।

বাংলাদেশ ইনিংসের পঞ্চম ওভারে রিচার্ড এনগারাভার বলে তরুণ ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ব্যক্তিগত মাত্র ৭ রানে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪ রানের পর এই ম্যাচেও দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে ব্যর্থ হলেন তিনি।

মুনিম দ্রুত ফিরে গেলেও এনামুল হক বিজয়কে সঙ্গে নিয়ে ঝড়ো গতিতে রান তোলা অব্যাহত রাখেন লিটন। নবম ওভারের শেষ বলে উইলিয়ামসের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরার আগে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ বলে ৫৬ রান করেন তিনি।

লিটন ফেরার ৩ বলের মাথায় সাজঘরের পথ ধরেন বিজয়ও। ১৫ বলে ১৬ রান করে সিকান্দার রাজার বলে আউট হন  তিনি।

তিন বলের ব্যবধানে দুই উইকেট হারালেও চতুর্থ উইকেট জুটিতে আফিফ হোসেন (৩০*) এবং নাজমুল হোসেন শান্তর (১৯*) ৪৮ বলে ৫৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

মোসাদ্দেকের ঘূর্ণিতে দিশেহারা জিম্বাবুয়ে তৃতীয় উইকেট হারায় ইনিংসের তৃতীয় ওভারে, এবার শিকার স্বাগতিক অধিনায়ক ক্রেইগ এরভিন। স্লিপে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি সাজঘরে ফেরেন ৪ বলে ১ রান করে। পরের দুই উইকেটও মোসাদ্দেকের দখলে। নিজের তৃতীয় ওভারে উইলিয়ামসের ফিরতি ক্যাচ নেন। ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান।

নিজের কোটার চতুর্থ ওভারে আউট করেন মিল্টনকে। হাঁটু গেঁড়ে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে হাসান মাহমুদের হাতে ধরা পড়ে এই ব্যাটসম্যান ফেরেন ৮ বলে ৩ রান করে। ৭ ওভারে ৩২ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে জিম্বাবুয়ে।

সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে বার্ল করেন ৩১ বলে ৩২ রান। তাকে হাসান ফেরালে ভাঙে ৬৫ বলে ৮০ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি।

বার্ল আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পর ফেরেন রাজাও। তাকে শিকার বানান মুস্তাফিজ। ৫৩ বলে ৬২ রানের ইনিংসটি রাজা সাজান ৪টি চার ও ২টি ছয়ের মারে। শেষদিকে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ৬ এবং লুক জংউইয়ের ৫ বলে ১০ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানের পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট নেন মোসাদ্দেক।

দিনবদলবিডি/এইচএআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়