কোথা থেকে আসছে আপনার ইফতারের খেজুর?

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৪৩, রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪, ১৭ চৈত্র ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

সূর্য ডোবার সাথে সাথে অগুনতি মানুষ রোজা ভাঙেন একটি খেজুর মুখে দিয়ে। সেই মহানবী (সা.) এর সময় থেকে চলে আসছে  ইফতারে খেজুর খাওয়ার এই প্রথা, আর পবিত্র কুরআনেও রয়েছে খেজুরের পুষ্টিকথা।

টাটকা হোক বা শুকনো, খেজুরে থাকে গুরুত্বপূর্ণ সব ভিটামিন, খনিজ, এবং অনেকটা ফাইবার। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে প্রচুর। গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি হওয়ায় খেজুর খেলে দ্রুত শক্তি পাওয়া যায়। সারাদিন রোজা রাখার পর তাই খেজুর খেলে অনেকটা চাঙ্গা বোধ হয়।

খেজুরের বেশ কিছু প্রকরণ রয়েছে। একেকটির স্বাদ একেক রকম-

মেদজুল: বড় আকারের, মিষ্টি স্বাদ ও চড়া ফ্লেভারের খেজুর, রং হালকা বাদামি।

মাবরুম: অন্যান্য জাতের খেজুরের তুলনায় হালকা মিষ্টি, লম্বাটে আকার, লালচে-বাদামি রং, কিছুটা শক্ত।

আজওয়া: নরম, রসালো স্বাদ, বেশ মিষ্টি। মদিনায় জন্মায় বলে মুসলিমদের কাছে এর কদর বেশি। এর দামটাও তাই সবচেয়ে চড়া

দেগলেত নূর: মাঝারি আকারের, হালকা রঙের খেজুর। মূলত রান্না এবং বেকিং কাজে ব্যবহৃত।

পিয়ারম: গাঢ় রং, চড়া ফ্লেভারের খেজুর। অন্যান্য খেজুরের তুলনায় একটু শুকনো। এর স্বাদেও রয়েছে ভিন্নতা।


হাজার হাজার বছর ধরে চাষ হয়ে আসছে খেজুর। প্রতি মৌসুমে ১০০ কেজির বেশি খেজুর উৎপাদন করতে পারে একটি গাছ। এছাড়া প্রতি বছরে সারা বিশ্বে ১০০ বিলিয়ন কেজির বেশি খেজুর উৎপাদন হয়, এর মাঝে ১৮ শতাংশই উৎপাদন হয় মিশরে। সৌদি আরবে উৎপাদন হয় ১৭ শতাংশ।

যেসব দেশে গ্রীষ্মকাল লম্বা, উত্তপ্ত, সেসব দেশে খেজুর ভাল হয়, যেমন মধ্যপ্রাচ্য এবং এর আশেপাশের দেশগুলো।

ইসরায়েলি খেজুর বয়কট

বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা ইসরায়েলের বিভিন্ন পণ্য বয়কট করছেন। ইসরায়েল প্রচুর পরিমাণে খেজুর রপ্তানি করে থাকে। ২০২২ সালে দেশটি ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মেদজুল খেজুর রপ্তানি করেছিল। কোন কোন খেজুর ব্র্যান্ডের সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক আছে, তা দেখে নিন-

- হাদিকলাইম এবং এর ব্র্যান্ডগুলো যেমন কিং সলোমন, জর্ডান রিভার, এবং জর্ডান রিভার বায়ো-টপ
- মেহাড্রিন
- এমটিএক্স
- এডম
- কারমেল
- অ্যাগরেক্সকোআরাভা

 

দিনবদলবিডি/Anamul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়