হঠাৎ অসংলগ্ন আচরণ

দৌড়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তরুণীর মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১১:৪৪, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪, ১৯ চৈত্র ১৪৩১
কীর্তিনাশা নদী থেকে রুপার লাশ উদ্ধার করেছে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের দল।

কীর্তিনাশা নদী থেকে রুপার লাশ উদ্ধার করেছে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের দল।

রুপার মা রানু বেগম বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই আমার মেয়ে পাগলের মতো করছিল। আশপাশের মানুষরা বলছে, ওরে নাকি জীনে আছর করেছে। তাই আজ সকালে ফকিরের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আসার পর কয়েকবার গোসল করছে। আর কিছুক্ষণ পর পর পানি খুঁজেছে। ইফতারের পর আমি মাগরিবের নামাজ পড়ছিলাম।

হঠাৎ করে কয়েক দিন ধরেই অসংলগ্ন আচরণ করছিলেন রুপা আক্তার (২৬)।গতকাল সোমবার সারাদিন কয়েকবার গোসল করেন তিনি। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আবারও গোসলখানায় পানি না পেয়ে দৌড়ে গিয়ে বাড়ির পাশে কীর্তিনাশা নদীতে ঝাঁপ দেন। এ সময় নদীর প্রচণ্ড স্রোতে পানিতে ডুবে নির্মমভাবে মৃত্যু হয় তার।

সোমবার রাত ১০টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বৈশাখীপাড়ায় কীর্তিনাশা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের দল। রুপা বৈশাখীপাড়া গ্রামের মোসলেম সরদারের মেয়ে।

আজ মঙ্গলবার সকালে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিবারের লোকজন না চাওয়ায় লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়নি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।


রুপার মা রানু বেগম বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই আমার মেয়ে পাগলের মতো করছিল। আশপাশের মানুষরা বলছে, ওরে নাকি জীনে আছর করেছে। তাই আজ সকালে ফকিরের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আসার পর কয়েকবার গোসল করছে। আর কিছুক্ষণ পর পর পানি খুঁজেছে। ইফতারের পর আমি মাগরিবের নামাজ পড়ছিলাম। সে সময় সে আবারও পানি খুঁজতে খুঁজতে গোসলখানায় যায়। সেখানে পানি না পেয়ে দৌড়ে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। আমি পেছন পেছন দৌড়ে এসেও ওরে আর পাইনি। আমার বুকের মানিক চইলা গেল।’

নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কন্ট্রোল রুম থেকে খবর পেয়ে আমরা মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য ছুটে আসি। আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা পানির নিচ থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

দিনবদলবিডি/Nasim

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়