লালমনিরহাট সীমান্তে সাবেক ইউপি সদস্যকে বিএসএফের গুলি, আটক ১

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুলালী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলিতে সাইফুল ইসলাম নান্নু (৪৮) নামে সাবেক এক ইউপি সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেলাল হোসেন নামে আরও একজনকে আটক করেছে বিজিবি।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে  লোহাকুচি সীমান্তের  ৯২১ নম্বর পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৯টার দিকে আহত নান্নুকে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন বডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক।

আহত সাইফুল ইসলাম নান্নু উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামের মৃত গনি মিয়ার ছেলে। তিনি ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য। আটক বেলাল হোসেন (৩৫) একই এলাকার গফুর আলী ছেলে।

জানা যায়, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু পাচার করতে সন্ধ্যার পর তালুক দুলালী বড় মালদি সীমান্তে কাটাতারের বেড়ার পাশে নিজের পরিচালিত চর্কা বসাতে যান গরু ব্যবসায়ী নান্নুসহ কয়েকজন রাখাল। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুড়লে নান্নু গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান।

তার ডান পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে গর্ত হয়ে পড়েছে। এ সময় বেলাল হোসেন নামে একজনকে আটক করে বিজিবি। বাকিরা পালিয়ে এসে স্থানীয় নোয়াকুচি বিজিবি ক্যাম্পের টহল দলকে খবর দিলে তারা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ভর্তি করে। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত সাইফুল ইসলাম নান্নুকে দেখতে তাৎক্ষণিক আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভেলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী। এ সময় তিনি বলেন, সাইফুল ইসলাম নান্নু বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছেন শুনে এসেছি। তিনি আমার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য।

আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. বিক্রম চন্দ্র বলেন, আহত সাইফুল ইসলাম নান্নুকে পিঠের নিচে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসে বিজিবি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একজন আহত হয়েছেন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেলে নেয়া হচ্ছে।   এছাড়াও আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।