বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি

নীলফামারী সংবাদদাতা || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ রাত ০৮:১১, সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২, ১৭ শ্রাবণ ১৪২৯
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নীলফামারীতে উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সোমবার বেলা ৩টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

নীলফামারীতে উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সোমবার বেলা ৩টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় দুই সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

আকস্মিক পানি বৃদ্ধিতে টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁধের প্রায় ২০০ মিটার বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে দেড় শ বিঘার বেশি আমনক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, একমাস বিরতি দিয়ে আবারো তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার ঢলে চরখড়িবাড়ি গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁধটির প্রায় ২০০ মিটার বিধ্বস্ত হয়েছে, ভাঙন অব্যহত আছে। আকস্মিক ঢলে ইউনিয়নের প্রায় ৭০০ পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।’

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ইউনিয়নের পূর্বছাতনাই ও ঝাড়সিংহেরশ্বর চরের প্রায় ৫০০ পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন।’

পাউবো সূত্র মতে, গত ১২ জুন থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বাড়ছে-কমছে। ১৭ জুন প্রথমবার বিপৎসীমা অতিক্রম করে। ২০ জুন সেখানে সর্বোচ্চ ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর পানি কমে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। ২৯ জুন আবারো বিপৎসীমা অতিক্রম করে ৩০ জুন বিপৎসীমার নিচে নামে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যাপূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর পানি ৫২ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫২ দশমিক ৫৮ মিটার, বেলা ১২টায় ৫২ দশমিক ৫৮ মিটার দিয়ে প্রবাহিত বেলা ৩টায় বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ দশমিক ৭০ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। সেখানে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি বিকাল ৩টায় বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সবকটি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।’  

দিনবদলবিডি/এইচএআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়