মানববন্ধনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

‘উপাচার্য ও শিক্ষকদের ক্ষমতার দ্বন্দ্বে বলি আমরা’

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:০০, শনিবার, ৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

  • ৫ দফা দাবি উত্থাপন
  • দীর্ঘমেয়াদি সেশনজটের শঙ্কা 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। এ নিয়ে চতুর্থ দিনের মতো মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানবন্ধনে তারা ৫ দফা দাবি উত্থাপন করে বলেন, উপাচার্য ও শিক্ষকদের ক্ষমতা প্রদর্শনের বলি হচ্ছি আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

 

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো- অবিলম্বে ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করা, ক্লাস-পরীক্ষা চালু করা, পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা, শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত বাতিল ও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইউজিসি/সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সংকট নিরসন করা।

received_407451012243401

 

প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদা কানন বলেন, উপাচার্য ও শিক্ষকদের বিরোধে শক্তি প্রয়োগের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। আমরা যেমন শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিকে সাধুবাদ জানাই তেমনি তাদের ক্লাস বর্জনের প্রতিবাদ জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুস্থ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি। এছাড়াও সকল কোন্দল দ্রুত সমাধান করে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত ঘোষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আহ্বান জানাই। না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।

গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধের ঘোষণা আমাদের পক্ষে মানা সম্ভব না। উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির বিরোধে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করা হচ্ছে। যা আমাদের পুনরায় সেশনজটে ফেলে দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের পর ভিসির কক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় ও কিছু দাবি দাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গেলে দু’জন কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক সদস্যরা শিক্ষকদের ওপর হামলা করেন। এরই জেরে ৩ দফা ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি সাত দফা দাবি জানিয়ে আসছিল শিক্ষক সমিতি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ভিসি, ট্রেজারার ও প্রক্টরের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষকরা।

সবশেষ, গত (২৮ এপ্রিল) শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে ভিসি, ট্রেজারার ও প্রক্টরসহ ভিসিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতারা শিক্ষকদের কিল, ঘুষি ও ধাক্কা দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের অবস্থান দখলে নেন। এরপর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।  

দিনবদলবিডি/Nasim

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়