আল্লাহর বিস্ময়কর সৃষ্টি আঙুলের ছাপ

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৫৩, শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

১৮৮০ সালে ইংল্যান্ডের স্যার ফ্রান্সিস গোল্ট আবিষ্কার করেন, পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তি পাওয়া যাবে না, যার আঙুলের ছাপ অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে হুবহু মিলে যাবে। তখন থেকেই দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে।

মানবদেহের আঙুলের ছাপকে কোনো ব্যক্তির পুরো ডাটা ব্যাংক বলা হয়। এখানেই ব্যক্তির পুরো রহস্য ও তথ্যাবলি লুকিয়ে থাকে। পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের আঙুলের ছাপ সম্পূর্ণ আলাদা। পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তিকে পাওয়া যাবে না, যার আঙুলের ছাপ অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে যাবে। এমনকি পৃথিবী সৃষ্টির প্রথম মানুষ থেকে শুরু করে শেষ মানুষ পর্যন্ত কোনো দুজনের আঙুলের ছাপই এক রকম নয়।


১৮৮০ সালে ইংল্যান্ডের স্যার ফ্রান্সিস গোল্ট আবিষ্কার করেন, পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তি পাওয়া যাবে না, যার আঙুলের ছাপ অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে হুবহু মিলে যাবে। তখন থেকেই দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে। মানবদেহের এই একটি আঙুলের ভাঁজে রয়েছে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সব নিদর্শন।

 পবিত্র কুরআনে এই আঙুলিরেখাসমূহের প্রতি ইঙ্গিত করে মহান আল্লাহ বলেন, ‘মানুষ কি মনে করে যে, আমি তার হাড়গোড় একত্র করতে পারব না? অবশ্যই আমি তার আঙুলের ডগা (আঙুলের ছাপ) পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম। (সূরা কিয়ামাহ-৩-৪)


আধুনিক কমিটউটার জগতের রেখাসংকেত অথবা বারকোডের সঙ্গে তুলনা করা চলে মানুষের আঙুলের এই রেখাগুলোকে। প্রতিটি মানুষ মৃত কিংবা জীবিত প্রত্যেকেরই ভিন্ন ধরনের অনন্য আঙুলের আঁকিবুঁকি রয়েছে। আর তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে আঙুলের রেখাসমূহকে মানুষের পরিচয়ের জন্য সন্দেহাতীতভাবে গ্রহণ করা হয়েছে।

আঙুলের এই ছাপের মাধ্যমে বিশ্বের বিশাল বিশাল গোয়েন্দা সংস্থা অপরাধী শনাক্ত করতে অথবা সঠিক মানুষের ধরন শনাক্ত করতে ব্যবহার করে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, মোবাইল সিম, বিদেশ গমন, অফিশিয়াল ডাটাবেজ তৈরিসহ বহু কাজে আঙুলের ছাপের এই টেকনোলজি ব্যবহার করছে।

বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত এই সত্য ১ হাজার ৪০০ বছর আগেই কুরআনে বর্ণিত ছিল। দুই ব্যক্তির আঙুলের ছাপের পার্থক্য এতই সূক্ষ্ম যে, কেবল অভিজ্ঞ ব্যক্তিই উপযুক্ত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে তা শনাক্ত করতে পারে। পবিত্র কুরআনে সেটা বলে দিয়েছে সেই সময়, যখন মানুষ সেটা ধারণাও করত না। এ থেকে বোঝা যায় যে, এটা মহান আল্লাহর কুদরতের এক বিশাল কারিশমা।

দিনবদলবিডি/Nasim

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়