কিরগিজস্তান থেকে দেশে ফিরতে চান বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:২০, রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

স্থানীয় তরুণ বিদেশিদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন ও লুটপাট চালিয়েছেন।

কিরগিজস্তানে মিসরের কয়েকজন মেডিকেল শিক্ষার্থীর সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির সংঘর্ষের জেরে বিদেশিদের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতা আর অনিশ্চিয়তায় দিন কাটছে বাংলাদেশের অন্তত ৮০০ মেডিকেল শিক্ষার্থীর। এ কারণে সেখানকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চার্টার্ড ফ্লাইটে করে দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ড. জেরিত ইসলাম বলেন, শনিবার (১৮ মে) রাত থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে বড় কোনো হামলা হয়নি। কিন্তু কিছু স্থানীয় তরুণ বিদেশিদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন ও লুটপাট চালিয়েছেন।

তিনি জানান, তারা জুন আগামী মাসে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষে দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু এখন তারা চার্টার্ড ফ্লাইটে করে দেশে ফিরে পরবর্তীতে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ভাবছেন।

জেরিত আরও বলেন, আমরা উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখান থেকে আমাদেরকে জানানো হয়েছে যে তারা কিরগিজস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদেরকে সহায়তা করবেন। কিন্তু আমরা যদি নিজেদের উদ্যোগে আলাদা আলাদা করে দেশে ফেরার পরিকল্পনা করি তাহলে সেটা নিরাপদ হবে না।

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব কিরগিজস্তানের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তানভীর মেহরাব জানিয়েছেন, এখানকার বর্তমান পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নেই। তাদের হোস্টেলে স্থানীয়রা আক্রমণ করেছিল।

এসব বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বাংলাদেশি ছাত্র জখম হয়েছে এমন কোনো খবর নেই। আমরা কিরগিজস্তান সরকারকে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। এছাড়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে দেশটিতে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বলেছি।

এদিকে এমন ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তান নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে। চালু করেছে হটলাইন, যাতে কোথাও তাদের দেশের নাগরিক আক্রান্ত হলে সাহায্য পৌঁছাতে পারে। এছাড়া শনিবার পাকিস্তান বিশেষ ফ্লাইটে করে নিজ দেশের ১৪০ শিক্ষার্থীকে কিরগিজস্তান থেকে ফিরিয়ে এনেছে। আরও ৩টি বিশেষ ফ্লাইটে ৫৪০ শিক্ষার্থীকে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে রাজধানী বিশকেকে স্থানীয় দু-তিনজনের সঙ্গে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মিসরীয় কয়েকজনের সংঘর্ষ হয়। ১৬ মে সন্ধ্যায় বিদেশিদের ওপর হামলা শুরু করে স্থানীয়রা। শহরে যেসব বাড়িতে বিদেশিরা থাকেন, সেগুলোতে হামলা চালিয়ে লোকজনকে পেটানো এবং ভাঙচুর চালানো হয়। মেডিকেল কলেজগুলোর হোস্টেলেও তারা ঢুকে পড়ে। বিদেশি মেয়েদের ওপরও চালানো হয়েছে নির্যাতন। বাংলাদেশি একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, শহরজুড়ে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। 

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়