ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হম্বিতম্বি নয়, অ্যাকশন দেখতে চান ফিলিস্তিনিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১১:১০, শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

আইসিজের এই নির্দেশনার ফলে ইসরায়েল হামলা বন্ধ করবে এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা উপশম হবে, এমনটা আশা করছেন না তারা।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সাত মাসের বেশি সময় ধরে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। উত্তর গাজাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে তারা এখন দক্ষিণ গাজার রাফায় স্থল অভিযানের তোড়জোড় শুরু করেছে। তবে রাফায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

কিন্তু আইসিজের এই নির্দেশনার ফলে ইসরায়েল হামলা বন্ধ করবে এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা উপশম হবে, এমনটা আশা করছেন না তারা। তারা বলছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হম্বিতম্বি নয়, অ্যাকশন দেখতে চান তারা। খবর রয়টার্সের।

ইসরায়েলি হামলার কারণে নিজের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন সালওয়া আল-মাসরি। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড কেবল বেড়েই চলেছে। তাদের (আইসিজে) মুখে এক, কর্মে ভিন্ন; এমন কিছু বলা উচিত নয়। আমরা চাই আদালতের এসব সিদ্ধান্ত মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়িত হোক।

শুক্রবার (২৪ মে) দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের প্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। একই সঙ্গে ছোট্ট এই উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

এ নিয়ে গাজায় প্রাণহানি প্রতিরোধ এবং মানবিক দুর্ভোগ ঠেকাতে চলতি বছর তৃতীয়বারের মতো নির্দেশনা দিলেন ১৫ সদস্যের বিচারক প্যানেল। তবে আইসিজের এই আদেশ মেনে চলার আইনত বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা প্রয়োগ করার জন্য কোনো পুলিশ ফোর্স নেই এই আদালতের। এমনকি ইসরায়েলি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাবে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি হামলায় চারবার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নাগরিক শাবান আবদেল-রাউফ বলেছেন, ইসরায়েল বিশ্বকে পাত্তা দেয় না। তারা এমনভাবে কর্মকাণ্ড করে যেন তারা আইনের ঊর্ধ্বে। এর কারণ হলো মার্কিন প্রশাসন তাদের শাস্তির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিয়ে আসছে। বিশ্ব এখনও ইসরায়েলিদের হাতে আমাদের হত্যা বন্ধ করতে প্রস্তুত নয়।

বাস্তুচ্যুত আরেক ফিলিস্তিনি নাগরিক নাবিল দিয়াব বলেন, অবিলম্বে ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধের প্রয়োজন। আর সেটা অর্জন করতে ফিলিস্তিনিরা পদক্ষেপ দেখতে চান। আমাদের খালি খালি ঘোষণার প্রয়োজন নেই।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়