কটিয়াদীতে ভুট্টার ভালো দামে কৃষকের মুখে হাসি

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৫০, শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০ কৃষকরা জানান, রবি মৌসুমে চিরাচরিত বোরো ধান চাষে লাভ কম। অথচ খাটনি বেশি। কিন্তু কম পরিশ্রমে, কম খরচে ও অল্প বিনিয়োগে ভুট্টা চাষে লাভ হচ্ছে কয়েকগুণ। ফলে ধারাবাহিকভাবে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলতি মৌসুমে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে ভুট্টার ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষক উৎপাদিত ভুট্টা চড়া দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। 

 

গত বছর প্রতি মণ ভুট্টা ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করলেও এ বছর তারা তা বিক্রি করছেন ১ হাজার ২৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে। ভুট্টার বাম্পার ফলন ও দাম দ্বিগুণ পেয়ে কৃষকের মুখেও হাসি ফুটেছে।


উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০ কৃষকরা জানান, রবি মৌসুমে চিরাচরিত বোরো ধান চাষে লাভ কম। অথচ খাটনি বেশি। কিন্তু কম পরিশ্রমে, কম খরচে ও অল্প বিনিয়োগে ভুট্টা চাষে লাভ হচ্ছে কয়েকগুণ। ফলে ধারাবাহিকভাবে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।


উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ২৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে জালালপুর, লোহাজুরী ও কটিয়াদী পৌরসভায় ভুট্টা চাষ বেশি হয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভুট্টা মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তাদের ভুট্টা শুকাতে দেখে বাড়িতেই ফড়িয়ারা কিনতে আসছেন। কেনার জন্য দামও বলছেন। এ সময় কৃষকরা জানান, ভুট্টার সব কিছুই কাজে লাগে। ভুট্টা গাছের সবুজপাতা সুষম গো-খাদ্য এবং শুকনো গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আগে যেসব জমিতে বোরো ধান চাষ হতো, এখন ওই সব জমিতে ভুট্টার আবাদ করছেন তারা।

হত্যাকারীদের ফাঁসি চেয়ে আনারের বাসভবনের সামনে অবস্থানহত্যাকারীদের ফাঁসি চেয়ে আনারের বাসভবনের সামনে অবস্থান
উপজেলার বাগরাইট গ্রামের কৃষক মান্নান বলেন, ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। চাষ করতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। চাষ করতে যা খরচ হয়েছে তা জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত ভুট্টার মোচা ও গাছ থেকে উঠে আসবে। ফলন পেয়েছি ৯৫ মণ। আর উৎপাদিত ভুট্টা বর্তমান বাজার দরে লাখ টাকার উপরে বিক্রি হবে। যার সবটাই লাভ। ভুট্টা চাষ করে সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছি।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর উপজেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলন ও আশানুরূপ দাম পাওয়ায় কৃষকেরা খুশি। প্রচলিত পদ্ধতিতে ভুট্টা মাড়াই করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। কৃষি বিভাগ কর্তৃক ভুট্টা মাড়াই যন্ত্র বিতরণের ফলে কাজটি সহজ হয়েছে। ফলে কৃষকেরা বেশি আগ্রহী হবে ভুট্টা চাষে। 

দিনবদলবিডি/Nasim

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়