তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের বেশিরভাগ এলাকা, ভোগান্তি চরমে

জেলা সংবাদদাতা || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৩৭, সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া থাকায় নগরের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সকাল থেকে টানা ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে শহরের অধিকাংশ এলাকা। বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু থেকে বুক পরিমাণ পানি দেখা গেছে।

এদিকে পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় গণপরিবহনের সংখ্যা একেবারেই কম। ফলে রিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া গুনে অর্ধভেজা হয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া থাকায় নগরের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে সরেজমিনে নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া, কাপাসগোলা ও বাদুরতলা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মূল সড়কগুলো হাঁটু থেকে কোমর কিংবা অনেক স্থানে বুক সমান পানিতে ডুবে গেছে। সড়কের পাশের অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। আবার অনেক দোকান পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা একেবারেই নেই। চকবাজার থেকে বহদ্দারহাট যেতে টেম্পু ভাড়া পাঁচ টাকা। অথচ এখন আদায় করা হচ্ছে ১৫ টাকা। এছাড়া, রিকশাগুলোও তিনগুণ ভাড়া হাঁকাচ্ছে।

শাহেদুল হক নামের এক যাত্রী বলেন, ‘চকবাজার থেকে বহদ্দারহাট টেম্পু ভাড়া পাঁচ টাকা। কিন্তু এখন জলাবদ্ধতার অযুহাতে ১৫ টাকা আদায় করা হচ্ছে। রিকশা ভাড়া চাচ্ছে ১০ ০টাকা। তাই বাধ্য তিনগুণ ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর আগ্রাবাদ, পতেঙ্গা ও হালিশহরের বেশিরভাগ এলাকাও পানিতে ডুবে গেছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে একাধিক প্রকল্পে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ব্যয় হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা। এত টাকা ব্যয় হলেও সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যাচ্ছে চট্টগ্রাম।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়