রাফার আশ্রয়শিবিরে প্রাণহানি যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তন আনবে না

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ রাত ০৮:১৭, বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

বাইডেনের প্রশাসন বলেছে, ঘটনাটি দুঃখজনক হলেও তা যুক্তরাষ্ট্রের ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করার মতো বড় কোনো স্থল অভিযান নয়।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফার একটি আশ্রয়শিবিরে গত রোববার অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। বোমা হামলার পর আগুনে ওই শিবিরের তাঁবুগুলো পুড়ে যায়। এতে অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বলেছে, ঘটনাটি দুঃখজনক হলেও তা যুক্তরাষ্ট্রের ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করার মতো বড় কোনো স্থল অভিযান নয়।

ওই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ইসরায়েলিরা বলেছেন, এটা একটা দুঃখজনক ভুল।’ সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, রাফায় যে হামলা হয়েছে, সেটি কি সেই ধরনের ‘মৃত্যু ও ধ্বংসের ঘটনা’, যেটি সম্পর্কে মার্কিন কর্মকর্তারা আগে সতর্ক করে বলেছিলেন, তেমনটা হলে ইসরায়েলের আরও সহায়তা বন্ধ হতে পারে।

জবাবে জন কারবি বলেন, ‘আমরা এখনো তেমনটা দেখিনি। আমরা রাফায় বড় কোনো স্থল অভিযান দেখতে চাই না। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ছাড়া ইসরায়েলিদের পক্ষে হামাসকে অনুসরণ করা অনেক কঠিন।’ তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলিরা বেশির ভাগ সময় রাফার উপকণ্ঠে হামলা করেছেন।

রাফায় ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষিত একটি শরণার্থীশিবিরে রোববার দিবাগত রাতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন

রাফায় সাম্প্রতিক স্থল অভিযানের কারণে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা দেওয়া প্রত্যাহার করতে হবে না—এ প্রশ্নের জবাবে জন কারবি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি এখানে এটাই বলেছি।’

রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলাকে ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

রোববারের হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনা চলছে। সে কারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে অধিবেশনে বসেছিল। আজ বুধবারও অধিবেশন চলবে।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়