বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের নীতি পরিবর্তন ও ‘তিস্তা চুক্তি’ কি অনিশ্চিত হয়ে গেল?
মোহাম্মাদ এনামুল হক এনা || দিন বদল বাংলাদেশ
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও, শরিকদের ওপর ভর করেই টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। তবে জোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসায় একচ্ছত্র আধিপত্য দেখাতে পারবেন না মোদি। অন্যদিকে পররাষ্ট্র নীতির তেমন কোন পরিবর্তন না হলেও অমীমাংসিত তিস্তার পানি চুক্তি আরও অনিশ্চিত এবং জটিল হতে পারে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম বাংলায় মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। সেখানে নরেন্দ্র মোদির বিজেপির হয়েছে ভরাডুবি। আর এখানেই তিস্তা চুক্তির সংকট আরো বেড়েছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। কেননা এর আগে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ‘তিস্তা চুক্তি’ করতে আগ্রহী হলেও বাধ সাধতেন মমতা ব্যানার্জি তথা মমতার রাজ্য সরকার।
মমতা মনে করেন যে, তিস্তার পানি চুক্তি হলে পশ্চিমবাংলার একটা বিপুল অংশ মরুভূমিতে পরিণত হবে। এ কারণেই তিনি পানি চুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন। তবে নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনের আগে বাংলাদেশকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, ভোটের পরেই তিনি তিস্তার পানি চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন। কিন্তু এখন যে রাজনৈতিক সমীকরণে ভারত দাঁড়িয়ে, সেখানে তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবার সম্ভাবনা প্রায় উড়ে গেছে। তবে এর বিপরীতে ব্যতিক্রম কিছুও ঘটতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতা ব্যানার্জির সাথে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বিজেপির। সে কারণেই মূলতঃ কেন্দ্রীয় সরকার রাজী থাকলেও বেঁকে বসতেন মমতা। তবে রাজনীতিতে শেষ বলেও কিছু নেই। এবার যেহেতু বিজেপি কোণঠাসা এবং মমতার কাছে হেরেছে, সেহেতু মোদিকে টেক্কা দিতে কিংবা নিজে ক্রেডিট নিতে অথবা বাংলাদেশের সাথে কলকাতার অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ সুসম্পর্কের দিক বিবেচনা করে ‘তিস্তা’ চুক্তি বাস্তবায়নে মমতা ব্যানার্জি এগোতে পারেন বলেও মনে করছেন তারা।
দিনবদলবিডি/Anamul