তুরাগে ভাঙ্গারি দোকানে বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:৩৮, মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২, ২৫ শ্রাবণ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

শনিবার তুরাগ থানার রাজাবাড়ির পুকুরপাড়ে গাজী মাজহারুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির…

রাজধানীর তুরাগের রাজাবাড়ি (কামারপাড়া) এলাকায় একটি রিকশার গ্যারেজ ও ভাঙারি বা পুরোনো জিনিসপত্রের দোকানে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতের নাম আল আমিন (৩৫)। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মঙ্গলবার ভোর ৩টার দিকে মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় এ নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হলো। মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এসএম আইউব হোসেন।

আল আমিনের শরীরের ৭৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ ঘটনায় দগ্ধ ৮ জনের মধ্যে ৬ জন মারা গেলেন।

সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন দগ্ধ আল আমিনের স্ত্রী রাশিদা বলেন, ‘টাকা-পয়সা কিছুই নাই। যদি সে মারা যায়; লাশটা যে গ্রামে নিয়ে যাব- সেই সামর্থ্যও আমার নাই।’

গত শনিবার তুরাগ থানার রাজাবাড়ির পুকুরপাড়ে গাজী মাজহারুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির রিকশা গ্যারেজ ও সংলগ্ন ভাঙাড়ি দোকানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন মালিকসহ ৮ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন মালিক মাজহারুল, রিকশাচালক নুর হোসেন, মিজানুর রহমান মিজান, মাসুম আলী ও মিস্ত্রি আলম মিয়া। ঘটনার দিন তাদের কেউ সেখানে কাজ করছিলেন; কেউ গ্যারেজে রিকশা রেখে বের হচ্ছিলেন। চিকিৎসাধীন তিনজনও রিকশাচালক। একই মালিকের গ্যারেজ ও ভাঙাড়ি দোকান হওয়ায় সেখানে মাঝেমধ্যে কাজ করতেন তারা।

স্থানীয় লোকজন ও দগ্ধদের স্বজনরা জানিয়েছেন, গ্যারেজে ব্যাটারিচালিত রিকশার ব্যাটারিতে পর্যায়ক্রমে চার্জ দেওয়া হয়। পুরোনো জিনিসপত্রের গুদামে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের খালি জার, কনটেইনার, পারফিউমের কৌটাসহ বিভিন্ন কেমিক্যালের খালি পাত্র রাখা হয়। শনিবার সকাল থেকে শ্রমিকরা এসব পুরোনো কনটেইনার, বোতল, কৌটাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র স্ট্ক্র্যাব মেশিনে চাপ দিয়ে সোজা করছিলেন। কাজ করতে গিয়ে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে মালিক মাজহারুলসহ আটজন দগ্ধ হন। পরে তাঁদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ধারণা, পুরোনো কৌটায় কেমিক্যাল জাতীয় কিছু থাকায় স্ট্ক্র্যাব করার সময় বিস্ফোরণে ঘটে। এর পর দুপুর পৌনে ২টার দিকে ফের আগুন লাগে ওই গুদামসংলগ্ন রিকশা গ্যারেজ ও ভাঙাড়ি মালপত্রে।

বিস্ফোরণের কারণ জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, কৌটা বা জারে গ্যাস সৃষ্টি হয়ে আগুনের স্পর্শ পেয়ে বিস্ম্ফোরণ ঘটতে পারে। পরের আগুন বিষয়ে বলেন, রিকশার ব্যাটারিতে বৈদ্যুতিক চার্জ দেওয়া হচ্ছিল তখন।

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়