লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবি, নিখোঁজ চালকের লাশ উদ্ধার
বরিশাল সংবাদদাতা || দিন বদল বাংলাদেশ
বরিশালের সন্ধ্যা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজ ইঞ্জিনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) স্থানীয় ডুবুরিরা ডুবন্ত বাল্কহেডের ইঞ্জিনরুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। মরদেহটি বাল্কহেড এমবি ইফতি + রিজভীর ইঞ্জিনম্যান কালামের (৪৭) বলে জানা গেছে।
তিনি পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার সুঠিয়াকাঠি ইউনিয়নের নান্দুহার এলাকার মৃত মাইনউদ্দিনের ছেলে। বাল্কহেডের আরেক চালক একই এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে মিলন (২৫) নিখোঁজ রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মাকসুদ আলম চৌধুরী বলেন, ডুবন্ত বাল্কহেড চিহ্নিত হলেও এখনো উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি। নিখোঁজ মিলনের সন্ধান চলছে।
বাল্কহেডের মালিক পক্ষের কাজী হাবিবুল্লাহ বলেন, সোমবার রাত ৯টার দিকে সন্ধ্যা নদীর বানারীপাড়া উপজেলার মসজিদবাড়ী ইটভাটা এলাকায় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া থেকে ঢাকাগামী এমভি মর্মিং সান-৯ লঞ্চের ধাক্কায় বালুবোঝাই বাল্কহেড ডুবে যায়। নিখোঁজ হয় মিলন ও কালাম।
কাজী হাবিবুল্লাহ আরো বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা লাশের সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। পরে স্থানীয় ডুবুরিদের মাধ্যমে সকাল ১১টার দিকে বাল্কহেডের ইঞ্জিনরুম থেকে কালামের লাশ উদ্ধার করা হয়।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি মোমিন উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার পর লঞ্চটি উজিরপুর উপজেলার চৌধুরীর ঘাটে নোঙর করে। সেখানে মেরামত শেষে রাত ৩টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
বিআইডাব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আনুমানিক ৫ শতাধিক যাত্রী ও পণ্যবোঝাই করে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল। কাছাকাছি এলে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে সামনের অংশ ফেটে পানি প্রবেশ করেছে। পানি অপসারণ করে মেরামত করে। পরে এক শ থেকে দেড় শ যাত্রী ও পণ্য নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। দুর্ঘটনায় কোনো যাত্রীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
দিনবদলবিডি/এইচএআর