সামিয়া রহমানের কাছে ঢাবির ১১ লাখ ৪১ হাজার টাকা দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:১০, বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০২২, ২৬ শ্রাবণ ১৪২৯
সামিয়া রহমান

সামিয়া রহমান

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সামিয়া রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়…

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানের কাছে পাওনা হিসেবে ১১ লাখ ৪১ হাজার ২১৬ টাকা দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন।

বুধবার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এমন দাবি করা হয়েছে। তবে এ চিঠিকে বানোয়াট আখ্যা দিয়ে হেনস্তা করতে এমন চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন সামিয়া রহমান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সিন্ডিকেটের ২৬-০৪-২০২২ তারিখের সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, আপনার প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদসহ জমাকৃত টাকার পরিমাণ ১৬,৫৮,২১৬ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট আপনার দেনা ১১,৪১,৬০১ টাকা পরিশোধ করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। আপনার নিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সামিয়া রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয় কোনো টাকা পায় না বরং অর্জিত ছুটিতে থাকায় আমিই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে টাকা পাই। মামলায় হেরে আমাকে টাকা বুঝিয়ে না দিতে এবং প্রতিশোধ নিতে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর এই চিঠিতে ৩ আগস্টের স্বাক্ষর দেওয়া আছে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গতকাল আমাকে মেইল পাঠানো হয়েছে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এটা একটা বানোয়াট চিঠি।

সংগৃহীত

তিনি বলেন, আমাকে হেনস্তা করার জন্য, প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন তড়িঘড়ি করে এমন চিঠি বানিয়েছে। এর কোনো ভিত্তি নেই। ছুটির কাগজপত্র আমার কাছে আছে, ছুটিতে থাকলে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় টাকা পাবে। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছি। মামলা করব, আর এটাতেও বিশ্ববিদ্যালয় হারবে।

সামিয়া রহমান ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান। পরে তিনি সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। তবে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাকে এক ধাপ পদাবনতি দিয়ে সহকারী অধ্যাপক করা হয়। পরে ওই বছরের ৩১ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সামিয়া রহমান।

গত ৪ আগস্ট সামিয়া রহমানকে পদাবনতির আদেশ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে তাকে সব সুযোগ-সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোট বেঞ্চ ওই রায় দেন।

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়