ভয়কে জয় করে প্রথম টিকা নিল ছোট্ট নিধি

নিজস্ব প্রতিবেদক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:২৬, বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২, ২৭ শ্রাবণ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনার টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন হয়েছে…

৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনার টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণমূলক এই টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রথম দিন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ১৬ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়। এদিন প্রথম টিকা নেন তৃতীয় শ্রেণির নিধি নন্দিনী কুণ্ড।

টিকা নেওয়া অন্য ১৫ শিশু হলো— একই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির সৌম্য দ্বীপ দাস, চতুর্থ শ্রেণির আবু সায়েম ফাহিম, পঞ্চম শ্রেণির বিকাশ কুমার সরকার, তৃতীয় শ্রেণির সাইমুন সিদ্দিক, একই শ্রেণির আরাফাত শেখ, আকিব আহমেদ সায়ন, শামীমা সিদ্দিকা তাসিন, রুপা আক্তার, হুমায়রা আফরিন তামান্না,  চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহমুদ হোসেন ও আল-আমিন, তাসলিমা আক্তার, সানজিদা আক্তার, নুসরাত জাহান আরিন এবং প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী হীরা আক্তার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আজকে আমরা শিশুদের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। আজকে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করতে যাচ্ছি এবং আগামী ২৫ আগস্ট থেকে সারা দেশে পুরোদমে টিকা কার্যক্রম চলবে। প্রথমে সিটি করপোরেশন এলাকায় শুরু হবে, তারপর পর্যায়ক্রমে সারা দেশে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শিশুদের ফাইজারের তৈরি বিশেষ টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা যুক্তরাষ্ট্রেও দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ওষুধ প্রশাসনও এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে। এটি শিশুদের জন্য একবারে নিরাপদ।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, টিকার ক্ষেত্রে আমাদের বিরাট সাফল্য রয়েছে। ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম ডোজ ৯৭ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ডোজ ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে।

দীপু মনি বলেন, এই টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার জন্য হু, ইউএসএইড, ইউনিসেফ, যুক্তরাষ্ট্র সরকার, কোভেস্কসহ সবার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম বলেন, ৫-১১ বছরের শিশুদের এই টিকা কার্যক্রম সারা দেশের ১২ সিটি করপোরেশন এলাকায় শুরু হবে। টিকার প্রথম ডোজ চলবে ২৫ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর দ্বিতীয় ডোজ কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথম ডোজ দেওয়ার দুই মাস পর শিশুরা দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাবে। শিশুদের দেওয়ার জন্য ফাইজারের তৈরি টিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে আমাদের হাতে আছে।  টিকা কর্মীরাও সারা দেশে প্রস্তুত আছেন।

তিনি আরও বলেন, শুরুতে শিশুদের টিকা কার্যক্রম সিটি করপোরেশন এলাকায় শুরু করার পরিকল্পনা করেছি। এরপর পর্যায়ক্রমে সারা দেশের সব জেলা-উপজেলা পর্যায়েও এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়