পদ্মা সেতু ষড়যন্ত্রে জড়িতদের খুঁজতে কমিশন গঠনের নির্দেশ

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:০৫, মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২, ১৪ আষাঢ় ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে একটি কমিশন গঠন করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) হাইকোর্ট একটি রুলের শুনানিতে এই আদেশ দেন।

হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে কমিশন গঠন করতে বলা হয়েছে সরকারকে। কমিশন গঠনের দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে থাকা প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং দোষীদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ২০১৭ সালে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্ট আরো বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটা আমাদের অহংকার।

এ ধরনের জাতীয় স্বার্থ উন্নয়নের বিরুদ্ধে যারা থাকেন, তারা জাতির শত্রু, দেশের শত্রু, তাদের চিহ্নিত করা দরকার।

গত শনিবার (২৫ জুন) মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন রবিবার (২৬ জুন) সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় দেশের সর্ববৃহৎ এই সেতু।

কিন্তু এ সেতু নির্মাণকে ঘিরে বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতির নানান গুজব ছড়ানো হয়েছে। কে বা কারা সেসব গুজব ছড়িয়েছিল–এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

পদ্মা সেতু নির্মাণের পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের বিচার দাবি: আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। একই সঙ্গে এ জাতীয় অন্যান্য দৈনিকের প্রতিবেদনেও ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অনেকের নাম উঠে আসে।

পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি সেসব প্রতিবেদন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনগুলো আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি এবং দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে থাকা প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং দোষীদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না, তা জানতে চান আদালত।

মন্ত্রিপরিষদ, স্বরাষ্ট্র, আইন ও যোগাযোগ সচিব এবং দুদকের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়