আসাম-মেঘালয়ে অরেঞ্জ অ্যালার্ট

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:৫২, সোমবার, ২০ জুন, ২০২২, ৬ আষাঢ় ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম ও মেঘালয় রাজ্য বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্য দুইটিতে আগামীকাল সোমবার আরো বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উভয় রাজ্যে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। দুই রাজ্যে বন্যায় ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

আসামের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। ৩৩টি জেলাই বন্যা কবলিত এবং ৪২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনসহ এ পর্যন্ত রাজ্যটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের।

কপিলি নদীর পানি সর্বোচ্চ বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ৫ হাজারেরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি তিন স্থানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং অন্য ছয়টি নদীর পানি পূর্ণ মাত্রায় প্রবাহিত হচ্ছে। এক লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ ৭৪৪টি আশ্রয় শিবিরে রয়েছে। রাজ্যটিতে গত ছয় দিন ধরে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে এবং ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন রেখে গেছে।

রাতভর অবিরাম বৃষ্টি আসামের রাজধানী গুয়াহাটির অনেক এলাকা প্লাবিত করেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। শহরে ব্রহ্মপুত্রের পানির প্রবাহ বন্ধ করতে গুয়াহাটির ভরলু সেতুর সব স্লুইস গেট বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

এদিকে, দিব্রুগড় জেলার রোহমোরিয়া বালিজানে ব্রহ্মপুত্র নদে একটি নৌকাডুবির ঘটনায় চারজন নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের সন্ধানে অভিযান চলছে।

আসামের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে একটি চিতাবাঘসহ কমপক্ষে পাঁচটি পশুর মৃত্যু হয়েছে এবং পার্ক এলাকার ১৫ শতাংশেরও বেশি ব্রহ্মপুত্র নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

প্রতিবেশী মেঘালয় রাজ্যে বন্যায় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিধসের কারণে দুটি জাতীয় মহাসড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড়ের মহাসড়কটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো সময় ভারী যান চলাচল শুরু হবে।

তিনি বলেন, রাস্তা স্বাভাবিক করার পাশাপাশি আটকে পড়া লোকদের সাহায্যে রাজ্যের সব সংস্থা চেষ্টা চালাচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে রাজ্যটিতে বন্যায় কমপক্ষে ১৮ জন মারা গেছে।

এদিকে, শুক্রবার থেকে অবিরাম বৃষ্টি হওয়ায় ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। রাজ্যটিতে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ভূমিধসের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে জরুরি সাহায্য পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে রাজ্য সরকার।

সূত্র : এনডিটিভি

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়