‘মিয়ানমার ভবিষ্যতে আকাশসীমা লঙ্ঘন না করার আশ্বাস দিয়েছে’

দিনবদলবিডি ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১০:২০, বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৯
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আকাশসীমা লঙ্ঘনের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সে বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপন করেছি। আমরা তাদের বলেছি, মিয়ানমারের যদি…

মিয়ানমার ভবিষ্যতে বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন না করার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অষ্টম সীমান্ত সম্মেলন শেষে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আকাশসীমা লঙ্ঘনের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সে বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপন করেছি। আমরা তাদের বলেছি, মিয়ানমারের যদি সীমান্তবর্তী এলাকায় ড্রোন উড্ডয়নের প্রয়োজন হয় বা হেলিকপ্টার ইউটার্ন করার প্রয়োজন হয়, সে তথ্য আমাদের দিতে। যেন আমরা ওই দিনগুলোতে লক্ষ্য রাখতে পারি যে, কোনো ধরনের সীমান্ত অতিক্রমের ঘটনা ঘটছে কি না। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে, এ ধরনের কোনো ঘটনা ভবিষ্যতে ঘটবে না।

স্থল মাইন বিস্ফোরণে বেশ কিছু বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তাদের দেশের নাগরিকও হতাহতের শিকার হয়েছে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছি, যেকোনো অনিচ্ছাকৃত বাংলাদেশ বা আপনাদের নাগরিক এর সংস্পর্শে এলে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে আমরা তাদের সহযোগিতা চেয়েছি এবং তারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে। আমরা যৌথভাবে এটা পর্যবেক্ষণ করবো, বলেন তিনি।

সাকিল আরো বলেন, এই দুটি বিষয় সমাধান হলে আমরা যৌথভাবে স্থলভাগে টহল দিতে পারবো। আমরা আশা করি, তাতে চোরাচালানি, মানবপাচারের মতো সব অপরাধ আমরা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হবো। এ বিষয়ে আমরা মিয়ানমারের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের যে সংঘাত, এটা সম্পূর্ণ তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং তাদের ভূ-খণ্ডে এটা সংগঠিত হচ্ছে। যেহেতু বর্ডারের কাছাকাছি ঘটনাগুলো ঘটছে, তাই এর প্রভাব আমরা অনুভব করছি। বিচ্ছিন্নতাবাদী বা সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে একযোগে কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা তথ্য বিনিময় করবো। কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সীমান্ত অতিক্রম করে একে অন্যের ভূ-খণ্ড ব্যবহার করতে না পারে।

মাদকের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে মিয়ানমারও সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আমাদের উভয় দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য আমরা যৌথভাবে কাজ করবো বলে সম্মত হয়েছি। আমরা বলেছি, এই চোরাচালানের সঙ্গে মূলত জড়িত জেলেরা। তাদের ছোট ছোট নৌকায় পারাপার হয়। গ্যাংগুলো সেসব জায়গা ব্যবহার করে যেগুলো পাহাড়ি ও দুর্গম। আমাদের অংশে এবং মিয়ানমারে যে চক্র মাদক চোরাচালানে কাজ করছে তাদের চিহ্নিত করবো। আমরা নামের তালিকা দিয়েছি। আমাদের এলাকায় আমাদের এখান থেকে যারা যায় তাদের গ্রেপ্তার করে হস্তান্তর করুন। একইভাবে আপনাদের কাউকে পেলে আমরা গ্রেপ্তার করে হস্তান্তর করবো। মিয়ানমারে যে কারখানা আছে সেগুলোর তালিকা দিয়েছি। আপনারা খোঁজ করুন এবং ধ্বংস করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিন। তারা রাজি হয়েছে, বলেন সাকিল।

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়