‘জিরো কস্ট’ এ মালয়েশিয়ায় গেলেন ৩০ কর্মী

দিনবদলবিডি ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১১:০৪, বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৯
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ইতোমধ্যে এক হাজার কর্মীর চাহিদা এলেও প্রাথমিকভাবে অল্প সংখ্যক কর্মী তিন দফায় মালয়েশিয়ায় যাবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়েসেলের…

সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীরা পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১০টায় ৩০ জন কর্মী নিয়ে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

মালয়েশিয়া প্রান্তে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪ টায় মালয়েশিয়া বিমান বন্দরে স্বাগত জানান, দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: গোলাম সারোয়ার। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, হাইকমিশনের মিনিস্টার লেবার মো. নাজমুস সাদাত সেলিম।

এসব কর্মীকে প্লান্টেশন সেক্টরে কাজের উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ওভারসিজ ইমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)।

ইতোমধ্যে এক হাজার কর্মীর চাহিদা এলেও প্রাথমিকভাবে অল্প সংখ্যক কর্মী তিন দফায় মালয়েশিয়ায় যাবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়েসেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও অতিরিক্ত সচিব ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন।

কর্মকর্তারা বলন, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে পাঠাচ্ছি তাদের। পর পর তিন দিন এই ফ্লাইটগুলো মালয়েশিয়া যাবে। আমরা এক হাজারের মতো ডিমান্ড পেয়েছি। আরও ডিমান্ড এলে আমরা সবই পাঠাতে পারবো।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ‘স্পেশাল ওয়ান-অব রিক্রুটমেন্ট প্রজেক্ট’ -এর আওতায় বাংলাদেশ থেকে বোয়েসেলের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় ১০ হাজার কর্মী পাঠানোর বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। ইতোমধ্যে ৬টি কোম্পানি থেকে প্রায় এক হাজার কর্মীর চাহিদা পাওয়া গেছে।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ডাটাবেজ থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে এবং বিভিন্ন জেলায় জব-ফেয়ারের মাধ্যমে কর্মীর তালিকা সংগ্রহ করার মাধ্যমে ৭০০ জনকে প্রস্তুত করা হয়েছে।

‘স্পেশাল ওয়ান-অব রিক্রুটমেন্ট প্রজেক্ট’ আওতায় বোয়েসেল-এর মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর খরচ প্রায় ৪৬ হাজার টাকা। মালয়েশিয়ার অন্যতম বৃহৎ প্লান্টেশন কোম্পানি ইউনাইটেড প্লান্টেশন (ইউপি) থেকে ইতোমধ্যে ৫৫০ জন কর্মীর চাহিদা পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়ায় যাওয়া সংক্রান্ত সব ব্যয় ইউপি কোম্পানিটি বহন করছে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ বিনা খরচে বোয়েসেল-এর মাধ্যমে নির্বাচিত কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল অপারেশন্স ইনচার্জ খায়ের রজমান মোহাম্মদ আনোয়ার এক বিবৃতিতে বলেছেন, এককালীন ব্যবস্থা হিসেবে সরকার থেকে সরকার চুক্তির অধীনে এ কর্মী মালয়েশিয়ায় আসবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ইতোমধ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির কোনও সম্পর্ক নেই। মূলত উচ্চ অভিবাসন খরচ এড়াতে মালয়েশিয়ান নিয়োগ কর্মকর্তাদের উৎসাহে এমন ব্যবস্থায় সরকার সম্মতি দিয়েছে।

গত ডিসেম্বরে কর্মী নিয়োগে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ একটি সমঝোতা স্মারক সই করে। ওই চুক্তির আওতায় আগস্ট মাসে বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়া যাওয়া শুরু হয়।

এ দিকে মালয়েশিয়া বিমান বন্দরে ৩০ জন কর্মীকে স্বাগত জানানোর সময় হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, সরকার টু সরকার পদ্ধতিতে আমাদের ৩০ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় এসেছেন। এখানে বিনা খরচ বলতে আসলে খরচ কিন্তু আছে, যা কর্মী বহন করছে না। খরচ দিচ্ছে নিয়োগ করা কোম্পানি। অর্থাৎ কর্মী বিনা খরচে আসলেন। এমনকি বাংলাদেশ অংশে যেসব খরচ আছে সেটিও কোম্পানি দিচ্ছে। আবার বাড়ি থেকে বোয়েসেল অফিসে আসার খরচও কিছু কোম্পানি দিয়ে দিচ্ছে।

মালয়েশিয়া নতুন সরকার নির্বাচিত হয়েছেন, কর্মী রিক্রুটমেন্টে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, কর্মী রিক্রুটমেন্টে কোনো প্রভাব পড়ার কথা না। তারপরেও নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করি এতে কোনো প্রভাব পড়বে না। প্রাথমিক ভাবে ৩০ জন কর্মী আসলেন, পর্যায়ক্রমে অন্যরাও আসবেন।

এছাড়া সরকার টু সরকার বাদে এজেন্সির মাধ্যমে যে কর্মীরা আসছেন এবং পাইপলাইনে সকল কর্মীই মালয়েশিয়া আসবেন বললেন হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়