জাতীয় সংসদে আসন চায় হিজড়া সম্প্রদায়

দিনবদলবিডি ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:০৮, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

আমরা অনেক বৈষ্যমের শিকার হই দাবি করে পার্বতী আহমেদ বলেন, সিভিল সার্জন অফিস থেকে ঢাকা মেডিকেল পর্যন্ত আমাদের কাপড় খুলে দেখে। সেখানে…

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন দাবি করেছে হিজড়া সম্প্রদায়। সারাদেশ থেকে অন্তত ৩টি আসন দাবি করেছে তারা। এ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে এই সম্প্রদায়ের একটি প্রতিনিধি দল।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল তাদের সাক্ষাৎ দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আহসান হাবিব ও রাশেদা সুলতানা।

সাক্ষাতের সময় সিইসির কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় তৃতীয় লিঙ্গ ও ট্রান্সজেন্ডারদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা ‘সুস্থ জীবন’ নামে একটি বেসরকারি কমিউনিটি ভিত্তিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।

বৈঠকে হিজড়া সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, ‘সুস্থ জীবন’-এর চেয়ারম্যান পার্বতী আহমেদ, ববি ও জোনাকী জোনাক।

বৈঠকে শেষে ‘সুস্থ জীবন’-এর চেয়ারম্যান পার্বতী আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান ‘লিভ নো ওয়ান বিহাইন্ড’, কাউকে বাদ দিয়ে নয়। জাতীয় সংসদে নারী ও পুরুষ সংসদ সদস্যরা আছেন, তাহলে আমরা কোথায়? বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সবার অংশগ্রহণে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন পূর্ণ হবে। তৃতীয় লিঙ্গদের সারাদেশে যেন অন্তত তিনটি আসন দেওয়া হয়। সেই দাবি আমাদের ছিল।

পার্বতী আহমেদ বলেন, আমাদের চাহিদা ও সুযোগসুবিধাগুলো অন্যরা কিন্তু সেভাবে বোঝেন না। যার ব্যথা সেই বোঝে। আমাদের দাবিদাওয়া এবং আমাদের নিয়ে কাজ করার জন্য একজন প্রতিনিধি দরকার।

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অনেকেই শিক্ষিত রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে এখন অনেক শিক্ষিত মানুষ আছেন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে একজন চেয়ারম্যান হলেন। আমাদের দায়িত্ব দেওয়ার হলে অবশ্যই আমরা দায়িত্ব পালন করতে পারব। আমাদের যদি সুযোগ দেওয়া হয় অবশ্যই আমরা কাজ করে প্রমাণ দেখাব। আমরা সমাজের মূল ধারায় চলে আসব। সমাজে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে যে নেতিবাচক মনোভাব আছে তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।

ইসি সদস্যরা আমাদেরকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই ধরনের বৈঠক করতে বলেছেন। সংবিধান কি বলে এই রকম দিকগুলোই তারা দেখবেন।

আমরা অনেক বৈষ্যমের শিকার হই দাবি করে পার্বতী আহমেদ বলেন, সিভিল সার্জন অফিস থেকে ঢাকা মেডিকেল পর্যন্ত আমাদের কাপড় খুলে দেখে। সেখানে আমাদের মানসিক ও মানসম্মানে খুব আঘাত লেগেছে।

সব জায়গাতেই আমাদের অভিভাবক দেখাতে হয় অভিযোগ করে তিনি বলেন, অভিভাবকরা তো আমাদের আরও ১০-১৫ বছর আগে ছেড়ে দিয়েছে। পরিবার তো আমাদের রাখে না। তাহলে কীভাবে অভিভাবক নিয়ে যাব?

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়