পূর্ববিরোধের জের, ফোন করে ডেকে নিয়ে যুবককে পিটিয়ে খুন

সাভারের আশুলিয়ায় পূর্ববিরোধের জেরে রড দিয়ে পিটিয়ে রাকিবুল ইসলাম উজ্জল (২৪) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার (১ জুলাই) আশুলিয়ার ভাদাইলের মধ্যপাড়া এলাকায় ডেকে নিয়ে রাকিবুলের ওপর হামলা করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

নিহত রাকিবুল ইসলাম বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি ভাদাইলে ভাড়া থেকে ইপিজেডের প্যাক্সার বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

অভিযুক্তরা হলেন- জুয়েল ও সুমনসহ প্রায় ৬-৭ জন। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তারা ওই এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে আধিপত্য বিস্তার করে বিভিন্ন মানুষকে মারধর করেন বলে জানা গেছে।

নিহতের মামাতো ভাই সজীব গণমাধ্যমকে বলেন, রাকিবুলকে যখন আমি হাসপাতালে নিয়ে যাই, তখন জিজ্ঞেস করেছিলাম যে কারা তাকে মেরেছে। সে তখন বলে, তাকে জুয়েল ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে আগে থেকেই ৬-৭ জন লোহার রডসহ প্রস্তুত আছে তাকে মারার জন্য। এ সময় দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে জুয়েল তাকে হাত টেনে ধরে মাটিতে ফেলে দেয়। সবাই তাকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটুনি দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে আমি হাসপাতালে নিয়ে যাই।

তিনি আরও বলেন, আমার ফুপাতো ভাই রাকিবুলের বন্ধু রাব্বানির একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই মেয়েকে বিয়ে করে সুমন নামে এক ছেলে। বিয়ের পরও ওই মেয়ের সঙ্গে রাব্বানির যোগাযোগ ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে বেশ কয়েকদিন আগে জুয়েল ও সুমনসহ কয়েকজন রাব্বানিকে মারতে আসে। কিন্তু রাব্বানি আমার ভাই রাকিবুলসহ সেখানে বেশ কয়েকজন একসঙ্গে থাকায় জুয়েলরা মার খেয়ে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি সমাধানও হয়। কিন্তু পূর্বের ঘটনার রেশ ধরে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাকিবুলকে ফোন করে ডেকে নিয়ে রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।

এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা যেহেতু আশুলিয়া থানার অন্তর্গত, সেহেতু  তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা আশুলিয়া থানা নেবে।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু মন্ডল বলেন, এ ব্যাপারে আগেই একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা। সেই অভিযোগ মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।