ই-অরেঞ্জের সোহেল রানার বিরুদ্ধে ২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৫১, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২, ২১ আষাঢ় ১৪২৯
পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা- ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা- ছবি: সংগৃহীত

বিতর্কের মুখে বন্ধ হয়ে যাওয়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার বিরুদ্ধে গ্রাহকের সাড়ে ২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (৪ জুলাই) তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক। মামলাটির অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. মোনায়েম হোসেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, শেখ সোহেল রানা নিজের পদ-পদবি আড়াল করে দুর্নীতি-সম্পৃক্ত অপরাধে ই-অরেঞ্জ নামে এমএলএম কোম্পানি খোলেন। এরপর প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে বেশি লাভের প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ নামে ও তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে পরিচালিত ৬টি ব্যাংকের ৩১টি হিসাবে মোট ২৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫০ টাকা জমা করেন।

পরে এই টাকা তিনি তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ জন্য তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২–এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪–এর ২৭ (১) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।

এদিকে গত ৭ এপ্রিল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি কেন নয়, জানতে চেয়ে রুলও দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া চার মাসের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে এনে ভুক্তভোগীদের মাঝে বণ্টনের নির্দেশও দেন হাইকোর্ট।

পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া এবং অগ্রিম অর্থ ফেরত না দেওয়ায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান এখন কারাগারে। আর ই-অরেঞ্জর অন্যতম হোতা সোহেল রানা বিদেশে পলাতক রয়েছে।

এর আগে গ্রাহকদের ৭৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি কত টাকা বিদেশ পাচার করা হয়েছে তা অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩ এপ্রিল রিট আবেদনটি করেন ই-অরেঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত তারেক আলমসহ ৫৪৭ গ্রাহক। তারেক আলমসহ ৫ শতাধিক গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম. আবদুল কাইয়ুম এ রিটটি করেন।

এতে দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাণিজ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করা অনলাইন শপ ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই থেকে গ্রাহকরা টাকা নিয়ে সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ তোলেন। পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া এবং অগ্রিম অর্থ ফেরত না দেওয়ায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান বর্তমানে কারাগারে আছেন।

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়