রোহিঙ্গাদের সমাবেশে নেতারা

বাংলাদেশে আর থাকতে চাই না, মিয়ানমারে ফিরতে চাই

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ রাত ১১:১৭, রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২, ৫ আষাঢ় ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

দেশে ফেরার আকুতি জানিয়ে বিশ্বকে জানাতে সমাবেশ করেছেন রোহিঙ্গারা। রবিবার সকালে উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রোহিঙ্গাদের এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ‘গো হোম’ ব্যানার নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন রোহিঙ্গারা।

যেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার পাশে লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি ব্লকে নিজ কার্যালয়ে গতবছরের ২৯ সেপ্টেম্বর গুলি করে হত্যা করা হয় রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিবউল্লাহকে। এর আগে এমন সমাবেশে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুহিবউল্লাহ।

এই সমাবেশে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।

সমাবেশে আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস সংগঠনের সদস্য নুরুল আমিন বলেন, আমরা বাংলাদেশে আর থাকতে চাই না। নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই। বিশ্ববাসীর কাছে দাবি জানাচ্ছি, আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে স্বদেশে ফিরে যেতে সহায়তা করুন। পাশাপাশি বিপুল রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 

 

 

রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা বলেই ডাকা, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে আরাকানের গ্রামে গ্রামে প্রত্যাবাসন, প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত প্রত্যেক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, বাংলাদেশ, এনজিও, সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা, বার্মার ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন বাতিল, সম্পত্তি ফেরত, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারসহ নানা দাবী উত্থাপন করা হয় সমাবেশে। 

১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এসপি নাইমুল হক জানান, ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য এপিবিএন পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল।

জানা গেছে, আগামী ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একসঙ্গে পৃথক পৃথক স্থানে কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সমাবেশে তারা গণহত্যার বিচার, দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ ১৮টি দাবি তুলে ধরেন।

২০১৭ সালের আগস্টে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে নতুন করে পালিয়ে আসে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা, সরকারি হিসেবে যাদের সংখ্যা এখন প্রায় ১১ লাখেরও বেশি। পরে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদেরকে উখিয়ার টেকনাফের ৩৪ টি ক্যাম্পে আশ্রয় দেয়। তাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে বাংলাদেশ বিশাল বনভূমি হারিয়ে ফেলে। কিছু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আনাগোনায় উখিয়া-টেকনাফ পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসের জনপদে। ফসলের জমি বিনষ্ট, নিরাপত্তাহীনতা, ব্যয়বৃদ্ধিসহ নান কারণে দিনদিন স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে রোহিঙ্গাদের সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

দিনবদলবিডি/Md. Rahat Hossain

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়