রাজধানীর পশুর হাটে আনুষ্ঠানিক কেনাবেচা শুরু

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১১:২০, বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২, ২২ আষাঢ় ১৪২৯
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

রাজধানী ঢাকায় দুই সিটি কর্পোরেশনের পশুর হাটে আজ (বুধবার, ৬ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক কেনাবেচা। 

তবে গতকাল মঙ্গলবারও বিভিন্ন হাটে কেনাবেচা করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। যে পরিমাণ পশু উঠেছে সে পরিমাণ বিক্রি শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তারা জানান, হাটে এখনো কোরবানির পশু কেনার চেয়ে লোকজন বেশি ঘুরে ঘুরে দেখছেন।

এ বছর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় স্থায়ী হাট সারুলিয়া ছাড়াও অস্থায়ী আরো ১০টি হাট বসেছে। অন্য দিকে উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গাবতলী হাট ছাড়াও ৯টি হাট বসেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্রেতারা এখনো ঘুরে ঘুরে হাট দেখছেন। তাদের বেশির ভাগেরই চাহিদা দেশি মাঝারি ও ছোট সাইজের গরু। গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় এবার গরুর দামও বেড়ে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

কাওলা শিয়ালডাঙ্গা হাটে পশু কিনতে আসা রাসেল হাসান জানান, পশু দেখতে এসেছি, দেখছি দামদর কেমন? তবে, শেষের দিকে গরু কিনব। এখন কিনলে রাখার জায়গা নেই। শহরের বেশির ভাগ মানুষই ভাড়া বাসায় থাকে, তাই শেষের দিকে কিনবেন বলে তিনি জানান। তার সঙ্গে তার আরেক বন্ধু জানান, মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর দাম ছাড়ছেন না ব্যবসায়ীরা। এর চাহিদা বেশি থাকায় দামও হাঁকাচ্ছেন বেশি।

গাবতলী পশুর হাটে রাজা মিয়া এসেছেন কোরবানির গরু দেখতে। তিনি বলেন, গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম বাড়তি। তবে বেশির ভাগই দেখছেন শুধু। যাদের মধ্যে কেনার লোক কম। ১০০ জন দেখলে ১০ জন গরু কিনছেন। মূলত যাদের বাড়িতে গরু রাখার জায়গা আছে তারাই গরু কিনছেন, তাও আবার দেশি মাঝারি গরু। সাড়ে পাঁচ মণ মাংস মিলবে এমন গরুর দাম হাঁকানো হচ্ছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। গরুর বাড়তি দাম প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদরের গৃহস্থ হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘গো-খাদ্যের দাম বেশি, হাটে গরু রাখার  ভাড়া বেশি, ৩ হাজার টাকা। সব খরচেই আগের থেকে বেশি।’

তিনি বলেন, এবার হাটে মিয়ানমারের কোনো গরুর দেখা মেলেনি। ভারতীয় ও নেপালি কিছু গরু দেখা গেছে। এসব গরু অনেক আগে ভারত থেকে এনে লালন-পালন করা হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই হাতেগোনা।

গরু বেচাকেনা কেমন হচ্ছে, জানতে চাইলে হাসান নামে এক ব্যাপারী বলেন, পর পর দুই বছর লোকসান দিয়েছি। এবার মনে হচ্ছে সে টাকা উঠবে। তার পরেও শেষ দিন পর্যন্ত দেখতে হবে। আসলে এখনো কিছু বোঝা যাচ্ছে না। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ব্যাপারী হামজা বলেন, ৪৮টা গরু আনছি। আশা করছি দু-একদিনে অর্ধেক শেষ হয়ে যাবে।

হাটের বিষয়ে দক্ষিণ সিটি কর্পোশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, যারা হাটগুলো ইজারা নিয়েছেন, আগত ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।

ডিএনসিসির ৬ হাটে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবস্থা

এদিকে ডিএনসিসির ছয়টি কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেনের জন্য বুথ উদ্বোধন করা হয়েছে। ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবস্থা রয়েছে এমন হাটগুলো হচ্ছে গাবতলী, বছিলা, আফতাবনগর, ভাটারা, কাওলা ও উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের পশুহাট। এ বিষয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম বলেন, কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ এবং সহজ লেনদেন নিশ্চিত করতে স্মার্ট হাটের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় ডিএনসিসির ছয়টি পশুর হাটে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ উদ্বোধন করা হয়েছে। এই উদ্যোগ ক্রেতা-বিক্রেতাদের নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি, নকল বা ছেঁড়া/ফাটা নোট-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়