শরীরে আগুন দিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার আত্মহত্যা, ব্রিফিংয়ে যা জানাল র‌্যাব

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:৫৬, বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২, ২২ আষাঢ় ১৪২৯
র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হেনোলাক্সের নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিন। ছবি: সংগৃহীত

র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হেনোলাক্সের নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিন। ছবি: সংগৃহীত

প্রসাধনী সামগ্রী প্রস্তুতকারী কম্পানি হেনোলাক্সের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী কম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাতেমা আমিনের কাছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ব্যবসায়ী গাজী আনিসুর রহমান ৩ কোটি টাকা পেতেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

প্রসাধনী সামগ্রী প্রস্তুতকারী কম্পানি হেনোলাক্সের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী কম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাতেমা আমিনের কাছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ব্যবসায়ী গাজী আনিসুর রহমান ৩ কোটি টাকা পেতেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

আজ বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ারবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

এ সময় গাজী আনিসের সঙ্গে আমিন-ফাতেমা দম্পত্তির ব্যবসায়িক লেনদেন, বিনিয়োগসহ সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন মঈন।

কমান্ডার মঈন বলেন, গাজী আনিসের সঙ্গে লেনদেনে টাকার পরিমাণ নিয়ে আসামিদের আপত্তি আছে। লেনদেন হয়েছে তা তারা স্বীকার করেছেন। বিভিন্ন সময়ে চেকে ও নগদে ৭৬ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। তবে গাজী আনিসের লভ্যাংশসহ ন্যায্য পাওনা তিন কোটি টাকা। এটা নিয়েই মূলত তাদের মধ্যে একাধিকবার বাকবিতণ্ডা হয়েছে।

মঈন বলেন, গত ৪ জুলাই বিকাল পৌনে ৫টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় আনিসুর রহমান নিজের গায়ে পেট্রল জাতীয় দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৬টায় সেখানে মারা যান তিনি।

আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে এক পোস্টে আনিস দাবি করেন, হেনোলাক্স গ্রুপে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হন তিনি। মৃত্যুর পর রাজধানীর শাহবাগ থানায় নুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন আনিসের বড় ভাই নজরুল। এ ঘটনায় নুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিনকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা দিলেও তা লাভ এবং আসল মিলে দাঁড়ায় প্রায় ৩ কোটি টাকায়। যার মধ্যে ৭৬ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন নুরুল আমিন। চেক দেওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন গ্রেপ্তার দম্পতি।

দিনবদলবিডি/এইচএআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়