কোরবানিতে নতুন নিয়মে যাচ্ছে দুই সিটি

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৫৮, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০২২, ২৩ আষাঢ় ১৪২৯
উত্তর-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

উত্তর-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করেও নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দিতে রাজধানীবাসীকে অভ্যস্ত করতে পারেনি। উল্টো ভেস্তে গেছে সিটি কর্পোশনের পরিকল্পনা, অপচয় হয়েছে অর্থ।

তাই এবার আর এই পথে হাঁটছে না দক্ষিণ সিটি। আর একটি ওয়ার্ডে পাইলট প্রকল্প নিয়ে আবারো মাঠে নেমেছে উত্তর। জনস্বার্থে সনাতন এই পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসার পরামর্শ পরিবেশবিদদের।

কোরবানির দিন যে যার ইচ্ছেমতো জায়গায় পশু জবাই করবে এটাই যেনো নিয়ম বনে গেছে। দুপুর গড়াতেই সেই বর্জ্য অপসারণে আটঘাঠ বেঁধে মাঠে নামে নগর কর্তৃপক্ষ। দিনরাত এক করে সে এক মহাযজ্ঞ। ঘনবসতির এই নগর শতভাগ পরিচ্ছন্ন করতে লেগে যায় কয়েকদিন।

তবে এর বিকল্প পথেও হেঁটে দেখেছে দুই সিটিই। ওয়ার্ড ভিত্তিক নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির ব্যবস্থা করলেও তাতে খুব একটু সাড়া দেয়নি নগরবাসী। সবশেষ গত কোরবানিতে বসিলায় উত্তরের বিশাল আয়োজনে তেমন সাড়া দেয়নি নগরবাসী। দক্ষিণেও এমন আয়োজন থাকলেও অধিকাংশই কোরবানি দিয়েছেন ইচ্ছেমতো।

তাই এবার আর সেই নিয়মে যাচ্ছে না ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। ১২টার মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার পরিকল্পনা তাদের।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমরা দেখেছি যে জনগণ এটাতে সেভাবে সায় দেয় না। তারা সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে এবং আমাদের অনেক অর্থ অপচয় হয়। আমরা এবার যে কার্যক্রমটা নিচ্ছি সেটা হলো তারা যেখানেই কোরবানি দিয়ে থাকুক না কেন তারা যেন দ্রুতই অর্থাৎ দুপুর ১২টার মধ্যে বর্জ্য সংগ্রহকারীর কাছে পশুর বর্জ্য হস্তান্তর করে।

এবার নতুনভাবে মাঠে নামছে উত্তর। সাত নস্বর ওয়ার্ডে সাতটি নির্দিষ্ট স্থানেই থাকছে কোরবানির ব্যবস্থা। এর বাইরে যাতে না হয় থাকবে সেই তদারকি।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আগে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্যান্ডেল করে দিতাম। তাই এবার প্রথমবারের মতো আমাদের কাউন্সিলরদের সঙ্গে মিটিং করে আমরা টেস্ট কেস হিসেবে ৭ নং ওয়ার্ডকে ধরেছি। মিরপুরের ৭ নং ওয়ার্ডে ৭টি জায়গা থাকবে সেখানে সবাই কোরবানি দেবে। আর সেখানে আমাদের তদারকি টিম থাকবে।

পরিবেশবিদরা বলছেন সনতনী এই পদ্ধতি বাদ দিয়ে আধুনিক কোরবানি ব্যবস্থাপনার এখনই সময়।

পরিবেশবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, যে ধর্ম পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকে সবার ওপরে রেখেছে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে যথাযথ করার ক্ষেত্রে সব রকম দায়িত্ব দিয়েছে, সেই ধর্ম পালনের জন্য শহরের জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়ার কোনো অধিকার কারও নেই।

প্রতি বছর ঢাকার দুই সিটিতে প্রায় ১২ লাখ পশু কোরবানি করেন দুই নগরের বাসিন্দারা। 

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়