যে পাঁচ প্রকল্পে ২.২৫ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১১:৩৭, মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩, ১৯ বৈশাখ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ গঠন, সবুজ ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন, আঞ্চলিক বাণিজ্যের প্রসার, কানেকটিভিটি, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বাংলাদেশকে ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। এ লক্ষ্যে পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও সংস্থাটি।

গত ১ মে সোমবার ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের উপস্থিতিতে এ চুক্তি সই হয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়।

প্রকল্প পাঁচটি হলো :

১. ‘অ্যাকসিলারেটিং ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া প্রোগ্রাম পেইজ-১’ এর আওতায় পরিবহন ও ট্রেন কানেকটিভিটি বাড়াতে ৭৫৩ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প। এটি আঞ্চলিক বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি বাড়াতে সাহায্য করবে।

২. ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ‘রেজিলিয়েন্স ইনফ্রাসট্রাকচার বিল্ডিং প্রকল্প’। এটি ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে প্রথম বড় বিনিয়োগ প্রকল্প। এটি অভ্যন্তরীণ বন্যার বিরুদ্ধে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে।

৩. ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রথম 'বাংলাদেশ সবুজ ও জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নয়ন প্রকল্প'। এটি দেশকে সবুজ ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে সহায়তা করবে।

৪. ২৫০ মিলিয়ন ডলারের 'সাসটেইনেবল মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ট্র্যান্সফরমেশন স্মার্ট প্রকল্প'। এটি ক্ষুদ্র শিল্প সেক্টরকে আরও গতিশীল, কম দূষণকারী, দক্ষ এবং জলবায়ু সহনশীল প্রবৃদ্ধির খাতে রূপান্তর করতে সাহায্য করবে।

৫. ২৫০ মিলিয়ন ডলারের 'বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবলিটি অ্যান্ড ট্র্যান্সফরমেশন প্রকল্প'। এ প্রকল্প পরিবেশ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে এবং সবুজ বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে সহায়তা করবে।

ঋণ অনুমোদন করে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস জানান এ ঋণ সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১ এ কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের (সিপিএফ) আওতাভুক্ত হবে। বিশ্বব্যাংকের এ অর্থ বাংলাদেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সহায়তা করার পাশাপাশি উচ্চ ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে। এছাড়া বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। যার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ু ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব হবে। এতে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সম্পর্ক আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলেও জানান ডেভিড ম্যালপাস

দিনবদলবিডি/Rabiul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়