বৃষ্টির জন্য পাবনায় ইসতিসকার নামাজ

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:২০, বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

নামাজ ও দোয়ায় ছাত্র, যুবকসহ শহরের আশপাশের শতশত ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে তওবা ও ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ প্রার্থনা করা হয়।

অতি তীব্র দাবদাহ, সঙ্গে কড়া রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পাবনাসহ এ অঞ্চলের মানুষ। অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে আম, লিচুসহ নানা ফল ও ফসল। পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে পাবনা জেলা শহরেরর টার্মিনাল এলাকার দারুল আমান ট্রাস্টের ক্যাম্পাসে খোলা আকাশের নিচে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন পাবনাবাসী।

নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পাবনা ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক ও মসজিদে আত তাকওয়ার পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুস শাকুর।

নামাজ ও দোয়ায় ছাত্র, যুবকসহ শহরের আশপাশের শতশত ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে তওবা ও ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ প্রার্থনা করা হয়।

নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বয়ানে আব্দুস শাকুর বলেন, পৃথিবীর মাটি যখন শুকিয়ে যায় বা অনাবৃষ্টি ও খরা দেখা দেয় এবং কূপ ও ঝরনার পানি কমে যায় অথবা নদী শুকিয়ে যায় তখন ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। খোলা মাঠে জামায়াতের সঙ্গে এই নামাজ আদায় করতে হয়। এই নামাজে কোনো আজান বা ইকামত নেই। আসমান ও জমিনে যা কিছু বিপদ ও দুর্যোগ এসে থাকে সেগুলো মানুষের হাতের কামাই। সেজন্য আমাদের আল্লাহমুখী হতে হবে। আল্লাহকে ভয় করতে হবে। যাবতীয় পাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।

এদিকে তীব্র গরমের মধ্যে ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার পাবনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস বলছে এই তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। তীব্র রোদে ফসলের মাঠ চৌচির হয়ে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আম ও লিচুর ক্ষতি হচ্ছে।

দিনবদলবিডি/Nasim

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়