‘ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এইডস আক্রান্ত তিন নারী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১০:২২, রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

মুখের ত্বকে এই ইনজেকশন গ্রহণ করা হয় বলে সাধারণ লোকজনের কাছে এই চিকিৎসা ‘ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল’ নামে পরিচিতি।


বিশেষ কসমেটিক চিকিৎসা ‘ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল’-এর ইনজেকশন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত তিন নারী এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নিউ মেক্সিকোর সবচেয়ে জনবহুল শহর আলবুকার্কে এই ঘটনা ঘটেছে।

মার্কিন সরকারের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই প্রথম কসমেটিক ইনজেকশনের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেল।’ বয়স বাড়তে থাকার সঙ্গে আমাদের ত্বকে বলিরেখা পড়ে। এই বলিরেখা দূর করার জন্য ‘প্লাটিলট রিচ প্লাজমা’ (পিআরপি) নামের একপ্রকার ঔষধি জৈব তরল ইনজেকশনের মাধ্যমে গ্রহণ করেন পশ্চিমা বিশ্বের ধনী-শৌখিন লোকজন। মুখের ত্বকে এই ইনজেকশন গ্রহণ করা হয় বলে সাধারণ লোকজনের কাছে এই চিকিৎসা ‘ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

সিডিসির তথ্য অনুসারে, যে তিন জন নারী এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন তাদের কেউ কখনো অনিরাপদ যৌন সম্পর্কে ছিলেন না। কোনো এইডস রোগীর রক্তও তারা গ্রহণ করেননি কখনো। সিডিসির নিজস্ব অনুসন্ধানে জানা গেছে, আলবুকার্কের যেসব স্পা ক্লিনিকে তারা পিআরপি বা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালের ইনজেকশন নিয়েছিলেন, সেই ইনজেকশনের সুচগুলো ঠিকমতো জীবাণুমুক্ত করা হয়নি।

আক্রান্ত তিন নারীর মধ্যে  মধ্যে দুই জনের দেহে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছিল ২০১৮ সালে। সে সময় এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান শেষে যে দুই স্পা ক্লিনিকে পিআরপি ইনজেকশন নিয়েছিলেন তারা, সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল সিডিসি। সেই সঙ্গে ইনজেকশন নিতে আগ্রহীদের তা নেওয়ার আগে এইচআইভি পরীক্ষা করানোর আহ্বান জানানো হয়েছিল এবং তারা যেন বিনা মূল্যে এই পরীক্ষা করতে পারেন, সে নির্দেশনাও দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ প্রতিরোধ ও গবেষণা সংস্থা। তারপর দীর্ঘদিন এ বিষয়ক অনুসন্ধান বন্ধ ছিল; কিন্তু সম্প্রতি ফের আরো একজন এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ায় আবার সেই অনুসন্ধান কার্যক্রম চালু করেছে সিডিসি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে সিডিসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালে অনিরাপদ সুচ ব্যবহারের কারণে শুধু নিউ মেক্সিকোতেই বর্তমানে অন্তত ৬০ জন এইডস আক্রান্ত রোগী আছেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা।  —সিবিএস

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়