দেশ-বিদেশের ৩ ডজন প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রস্তাব শরীফকে
দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
শরীফ উদ্দিন বলেন, আগামী সপ্তাহে যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠানে যোগদান করবো। তিনি জানান, যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারবেন, তেমন…
দুদক উপসহকারী পরিচালকের পদ থেকে চাকরিচ্যুত শরীফ উদ্দিনকে দেশি-বিদেশি ৩৫টির বেশি প্রতিষ্ঠান চাকরির প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি সৌদি আরব থেকেও চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন। এর মধ্যে আটটি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে নিয়োগপত্রও পাঠিয়ে দিয়েছে তার ঠিকানায়।
এ বিষয়ে জিজ্ঞাসার জবাবে আজ (বৃহস্পতিবার) সংবাদ মাধ্যমকে শরীফ উদ্দিন বলেন, আগামী সপ্তাহে যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠানে যোগদান করবো। তিনি জানান, যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারবেন, তেমন প্রতিষ্ঠানেই যুক্ত হবেন।
চাকরির প্রস্তাব দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বেসরকারি ব্যাংক, এয়ারলাইনস কোম্পানি, বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, কয়েকটি পোশাক কারখানা, পোলট্রি কোম্পানি, ওষুধ কোম্পানি, সিকিউরিটি কোম্পানি ও সৌদি আরবের একটি হীরার প্রতিষ্ঠান। বেশির ভাগ কোম্পানি ঊর্ধ্বতন পদে নিতে চেয়েছে শরীফকে। আর এয়ারলাইনস কোম্পানি প্রধান নির্বাহী পদে এবং পোশাক কারখানা প্রতিষ্ঠানগুলো জিএম পদের প্রস্তাব দিয়েছে।
এসব প্রস্তাব প্রসঙ্গে শরীফ ‘দুদকের চাকরি ফিরে পেলে সবচেয়ে বেশি ভালো হতো’ উল্লেখ করে বলেন, আমি সব সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, দুদকের চাকরি ফিরে পেলে রাষ্ট্রকে আরও বেশি সেবা করার সুযোগ পেতাম। বিদেশে অর্থ পাচার রোধসহ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারতাম।
২০১১ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন পাস করেন শরীফ। ২০১৪ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) উপসহকারী পরিচালক পদে চাকরি শুরু করেন।
দীর্ঘ সময় চট্টগ্রামে কর্মরত শরীফ কক্সবাজারের ৭২টি প্রকল্পে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, রোহিঙ্গাদের এনআইডি ও পাসপোর্ট জালিয়াতি, কর্ণফুলী গ্যাসে অনিয়মসহ বেশ কিছু দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।
সাড়ে সাত বছরের চাকরিজীবনের প্রথম ছয় বছরই বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে (এসিআর) দুদকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা শরীফকে ‘অতি উত্তম’ হিসেবে মূল্যায়ন করেন। তাকে তদন্তকাজে ‘অভিজ্ঞ’ এবং ‘উদ্যমী ও দক্ষ কর্মকর্তা’ হিসেবেও উল্লেখ করেছে দুদক।
গত বছরের ১৬ জুন তাকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি কোনো কারণ উল্লেখ না করেই চাকরিচ্যুত করা হয় তাকে। ওই আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন করেন শরীফ ২৭ ফেব্রুয়ারি। তবে তার আবেদনে সারা মেলেনি। এছাড়া শরীফকে চাকরিতে পুনর্বহাল চেয়ে এক আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন যার শুনানি এখনো হয়নি।
চাকরি হারিয়ে শরীফ চট্টগ্রামে তার বড় ভাইয়ের কনফেকশনারি দোকানে চাকরিরত আছেন- এমন তথ্যসহ সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
দিনবদলবিডি/Rony