ক্যানসার হয় যেসব কারণে

লাইফস্টাইল ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৪০, রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩, ২৬ চৈত্র ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

বিশ্বে ১২ শতাংশের বেশি মৃত্যু ঘটে ক্যানসারে। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে ক্যানসারকে যথাক্রমে মৃত্যুর দ্বিতীয় ও তৃতীয় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তি সুচিকিৎসা পেলে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি এবং এটা প্রমাণিত।

আমাদের দেশে স্তন, জরায়ু, অন্ত্রনালি, প্রোস্টেট, ফুসফুস, পাকস্থলী, ডিম্বাশয়, যকৃৎ, অন্ত্রনালি, মুখগহ্বর, ত্বক ইত্যাদি অঙ্গের ক্যানসারের কথা তো প্রায়ই শোনা যায় এবং আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে, ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

রোগের কারণ : ক্যানসারের কারণ হিসেবে পান-সুপারি, জর্দা, তামাকপাতা, ধূমপান, মদ্যপান, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণ, ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শ, কিছু কিছু ভাইরাস (হেপাটাইটিস-বি, সি; এইচআইভি, ইবিস্টেইন বার ভাইরাস, সাইটোমেগালা ভাইরাস), কিছু পরজীবী (সিস্টোসোমিয়াসিস), সূর্যকিরণ, তেজস্ক্রিয়তা, কীটনাশক, কাপড়ের রঙ, বায়ুদূষণ ইত্যাদিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রতিকার: ওপরে উল্লিখিত কারণগুলো প্রতিহত করতে পারলে তিন ভাগের একভাগ ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। ক্যানসার প্রতিরোধে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলা প্রত্যেকের জন্য অবশ্যকর্তব্য বলে মনে করি। এসব নিয়মের মধ্যে সুপারি, জর্দা, তামাকপাতা, ধূমপান ও মদ্যপান পুরোপুরি পরিত্যাগ করতে হবে। ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, বিশেষ করে নারীদের ঋতুস্রাব এবং সন্তান জন্মের পর পরিচ্ছন্নতা বিশেষ প্রয়োজন। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং প্রয়োজনীয় শারীরিক পরিশ্রম করে শরীর সচল রাখতে হবে। সব ধরনের তেজস্ক্রিয়তা এড়িয়ে চলতে হবে। পেশাগত কারণে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শে আসার আশঙ্কা থাকলে প্রয়োজনীয় প্রোটেকশন নিয়ে কাজ করতে হবে। সময়মতো টিকা গ্রহণ করতে হবে, বিশেষ করে ঐচঠ টিকা, হেপাটাইটিসবি টিকা। রঙিন খাদ্য ও পানীয়, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ এবং কসমেটিক বর্জন করতে হবে।

সর্বোপরি খাদ্য, ওষুধ ও কসমেটিক ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রত্যেক মানুষের একান্ত কর্তব্য। পর্যাপ্ত উদ্ভিজ্জ খাবার (শাকসবজি, ফলমূল) ও আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। খাবারে অতিরিক্ত লবণ সম্পূর্ণ ত্যাগ করুন। তাতে আপনারই মঙ্গল। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা বা এড়িয়ে চলতে হবে। যেসব অসুখ থেকে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেগুলোর দ্রুত চিকিৎসা করাতে হবে। ধূমপান ও মাদকবিরোধী আইন মেনে চলতে হবে এবং বাস্তবায়নে বিশেষ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে নাগরিক দায়িত্ব পালন করুন। ক্যানসারের কারণ ও প্রতিরোধে দ্রুত ক্যানসার নির্ণয় এবং ক্যানসারের পরিণতি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এন্ডোসকপিক স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই ক্যানসারের লক্ষণ জানতে পারলে শুরুতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। 

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়