গরমে শিশুদের হিট র্যাশ দেখা দিলে যা করবেন
লাইফস্টাইল ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। দেশজুড়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এই গরমে বড়দের মত বাচ্চাদেরও কষ্টের শেষ থাকে না। আর এই গরম থেকে শিশুদের ত্বকে দেখা দেয় লাল লাল হিট র্যাশ। ঘাম হলে যেখানে র্যাশ বেরিয়েছে, সেখানে জ্বালা করে। নবজাতক শিশু থেকে শুরু করে স্কুলগামী বাচ্চা- যে কারও এমন ত্বকের সমস্যা হতে পারে। শরীরের নানা স্থানে হিট র্যাশে হতে পারে।
এক্ষেত্রে কী করণীয়? কী কী নিয়ম মানলে উপকার মিলবে তা দেয়া হলো নিচে-
নজর রাখুন বাচ্চা যেন না চুলকায়
ঘামাচি বা হিট র্যাশ হলে নখ দিয়ে স্পর্শ না করাই ভালো। খেয়াল রাখবেন বাচ্চা যেন র্যাশের স্থান চুলকাতে না পারে। বরং ঠান্ডা পানিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে র্যাশের স্থান আলতো করে মুছে দিন। তাতে বাচ্চার আরাম লাগবে। কষ্টও কমবে।
ভুলেও পাউডার দেবেন না
অনেকেই আছেন যাঁরা গরম পড়লেই বাচ্চার সারা শরীরে পাউডার মাখিয়ে দেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাউডার লাগালে ঘাম নিঃসরণের পথ বন্ধ হয়ে যায়। তাতে সমস্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তো ঘামাচিনাশক পাউডার লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে কষ্ট আরও বেড়ে যায় বাচ্চাদের। হিট র্যাশে কষ্ট পাচ্ছে শিশু? মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম
হালকা পোশাক পরান
গরমের এ সময় বাচ্চাকে হালকা সুতির পোশাক পরান। শিশুদের দীর্ঘক্ষণ ডায়াপার না পরিয়ে রাখাই ভালো। তাতে হিট র্যাশের প্রবণতা বাড়ে। বাতাস লাগিয়ে ঘাম শুকালে এবং নিয়মিত ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখলে ঘাম জমতে পারে না। ফলে হিট র্যাশের আশঙ্কাও কমে। এক্ষেত্রে আরেকটা নিয়ম মানতে হবে, ছোট বাচ্চাদের অযথা চাদর বা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখবেন না। তাতে করে গায়ে ঘাম জমে সমস্যা বাড়তে পারে।
প্রতিদিন গোসল করান
গরমে প্রতিদিন শিশুকে গোসল করাতে হবে। তবে স্কুল বা বাইরে থেকে ঘেমে নেয়ে ফেরার সাথে সাথে গোসল করাবেন না। ঘাম মুছে একটু বিশ্রাম নেওয়ার পর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে এলে গোসল করান।
রোদে একেবারেই নয়
এই সময় বাচ্চাদের রোদে না নিয়ে বেরনোই ভালো। বিশেষ করে সকাল দশটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত। আর প্রয়োজনে বের হলেও ছাতা ও পানির বোতল অবশ্যই সাথে রাখুন।
দিনবদলবিডি/এমআর