নিয়মিত নাভি পরিষ্কার না করলে যা হতে পারে

লাইফস্টাইল ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৫৫, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ২২ মাঘ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

নিয়মিত গোসল করে পুরো শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলেও আলাদা করে নাভির যত্ন কি আমরা নিই? অনেকের বেলায় উত্তরটা হয়তো ‘না’। তবে শরীরের অন্যান্য অংশের মতো এটিও পরিষ্কার রাখা জরুরি। পরিচ্ছন্নতার অভাবে নাভিতে জমা হয় ময়লা, যা থেকে সৃষ্টি হতে পারে পাথর। জেনে নিন, যেভাবে নাভির যত্ন নেবেন-

যেভাবে নিয়মিত নাভি পরিষ্কার করবেন

গোসলের সময় নাভি পরিষ্কার করার সবচেয়ে ভালো সময়। নিয়ম করে প্রতিদিন গোসলের সময় নাভি এবং এর আশপাশের ত্বক ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। শরীরচর্চার পর কিংবা গ্রীষ্ণে যখন শরীর খুব ঘামে, তখন পারলে বেশি করে নাভি পরিষ্কার রাখুন।

সাবান ও পানি দিয়েই নাভি পরিষ্কার রাখা যায়

নাভি পরিষ্কার করতে খুব দামি কোনো প্রসাধনীর প্রয়োজন নেই। সামান্য পরিমাণ কুসুম গরম পানি ও সাবান দিয়েই এই কাজ করা যায়। আঙুলের ডগায় বা কোনো পাতলা কাপড় গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। এরপর তাতে সাবান মাখিয়ে আঙুল বা কাপড়টি দিয়ে নাভির ভেতর ও চারপাশ ভালো করে ঘষুন। এতে নাভির ময়লা বেশ ভালোভাবেই দূর হবে। পরে পানি দিয়ে নাভির ভেতর ও চারপাশ থেকে সাবান ধুয়ে ফেলুন। এ ক্ষেত্রে শরীরে মাখার যেকোনো সাবানই নাভি পরিষ্কার করতে যথেষ্ট। সুগন্ধযুক্ত সাবান মাখলে নাভিতে যদি প্রদাহ হয়, তাহলে সুগন্ধ নেই—এমন কোনো সাবান ব্যবহার করতে পারেন।

এ ছাড়া লবণপানি দিয়েও নাভি পরিষ্কার করতে পারেন। ১ চা–চামচ বা ৬ গ্রাম লবণ ১ কাপ বা ২৪০ মিলিলিটার পরিমাণ কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। এরপর একটি কাপড়ের টুকরা এই লবণপানিতে ভিজিয়ে নিয়ে নাভির ভেতর ও চারপাশ ভালো করে ঘষুন। পরে সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। লবণপানি নাভি থেকে জীবাণুমুক্ত করে, ময়লা দূর করে ও নাভিতে সাবান ব্যবহারজনিত প্রদাহ সৃষ্টি হতে দেয় না।

নাভি ভেতরে ‘ডিপক্লিন’

নাভির ভেতরে ময়লা জমে গেলে তা পরিষ্কার করা অনেক সময় বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কাপড় বা কটন বাড, পাতলা কাপড় বা তুলা ব্যবহার করতে পারেন। কটন বাড, তুলা বা পাতলা কাপড় সাবানপানি দিয়ে নাভির ভেতরে ভালো করে ঘষে ময়লা বের করে আনুন। ময়লা বের হয়ে গেলে জায়গাটি ভালো করে ধুয়ে নিন। তবে নাভির অবতলে খুব বেশি জোরে ঘষবেন না। এতে আপনার নাভির চারপাশের চামড়া ছিঁড়ে গিয়ে জ্বালাপোড়া শুরু হতে পারে।

শুকিয়ে নিতে ভুলবেন না

ধুয়ে ফেলার পর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে নাভি ভেতরে ও এর চারপাশ বেশ ভালো করে শুকিয়ে ফেলুন। না হলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্মাতে পারে। গোসলের পর জামাকাপড় পরার আগে কয়েক মিনিট ধরে বাতাসে ভালো করে জায়গাটি শুকিয়ে নিন।

তেল, ক্রিম বা লোশন একদমই নয়

নাভিতে তেল, ক্রিম বা লোশন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন, যদি চিকিৎসক আপনাকে তা ব্যবহার করতে পরামর্শ দেন। তেল, ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করলে নাভির এলাকা আর্দ্র থাকে। ফলে সেখানে অযাচিত ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা ইস্টের বংশবৃদ্ধির জন্য খুব ভালো পরিবেশ তৈরি হয়ে যায়। তবে নাভি যদি আর্দ্র রাখতেই হয়, তাহলে বেবি ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুর্গন্ধ, চুলকানি বা জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন।
 

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়