লাউ চাষে সফল তিন সহোদর

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:১০, বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

লাউ চাষী এই তিন সহোদর কঠোর পরিশ্রমী। শ্রমের সঙ্গে কৃষি অফিস ও তাদের কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শের কারণে তারা সফল। লাউ চাষে ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদ, জৈব বালাই নাশক ও জৈব সার ব্যবহার করেছেন। 

আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জৈবিক কৃষি ও জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনায় লাউ চাষ শুরু করেন তিনভাই। লাউ চাষে রোগ বালাই কম ও ঝুঁকি না থাকায় তারা সফল হয়েছেন। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দিতে হয়নি বলে এ লাউ খেতেও খুব সুস্বাদু। তবে তিনভাইয়ের সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরাও এখন লাউ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী গ্রামের ফসলের মাঠ। আশপাশে বিস্তীর্ণ ধানের ক্ষেত। মাঝখানে লাউ চাষ করেছেন ইউপি সদস্য পনির মিয়া এবং তাঁর দুই ভাই চাঁন মিয়া ও চিনি মিয়া। তারা প্রায় দেড় বিঘা জমিতে বাঁশের মাচা করে লাউ চাষ করেছেন।

লাউ চাষী এই তিন সহোদর কঠোর পরিশ্রমী। শ্রমের সঙ্গে কৃষি অফিস ও তাদের কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শের কারণে তারা সফল। লাউ চাষে ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদ, জৈব বালাই নাশক ও জৈব সার ব্যবহার করেছেন। তাদের সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরাও এখন লাউ চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। বীজ রোপণের দেড় মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে। এর কিছুদিন পর গাছে লাউ শোভা পায়। ক্ষেত থেকে সেই লাউ সংগ্রহ করেন তিনভাই। বিক্রির জন্য এগুলো নিয়ে যান বাজারে। আবার বাড়ি থেকেও পাইকাররা নিয়ে যান। এ পর্যন্ত প্রায় হাজার খানেক লাউ বিক্রি করেছেন। আরও একই পরিমাণ লাউ বিক্রি করা যাবে বলেও জানিয়েছেন তিন সহোদর।


বড়ভাই চাঁন মিয়া (৫৫) বলেন, দেড় বিঘা জমিতে তিনভাই মিলে উচ্চ ফলনশীল জাতের লাউ ক্ষেত করেছি। মাচায় ফলন আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত হাজার খানেক লাউ বিক্রি করেছি। এছাড়াও আরও যে পরিমাণ লাউ আছে, সেগুলোও ভালো টাকায় বিক্রি করা যাবে। মাঝে মধ্যে বাজারে লাউ নিয়ে গেলেও বেশিরভাগ সময় পাইকাররা বাড়ি থেকে এসে নিয়ে যায়।

মেঝভাই ইউপি সদস্য পনির মিয়া (৪০) বলেন, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা বিভিন্ন সবজির চাষ করি। এবার দেড় বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামীতেও এ লাউ চাষ করবো ইনশাআল্লাহ।

ছোটভাই চিনি মিয়া (৩৫) বলেন, আমাদের সার্বিকভাবে সহায়তা করেন উপজেলা কৃষি অফিস ও তাদের কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, তিনভাই যৌথভাবে লাউ চাষে আগ্রহী হয়েছেন এবং লাউ চাষ করছেন। আমরা সেখানে পরিবেশবান্ধব কৌশলে নিরাপদ ফসল প্রকল্পের আওতায় কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাদের একটি প্রদর্শনী দিয়েছি। সেখানে তাদেরকে উন্নত জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার সরবরাহ করাসহ তাদের বারমি কম্পোস্ট, ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদ, জৈব বালাই নাশক ও জৈব সার দেওয়া হয়েছে। এখন তিনভাইয়ের চাষ করা লাউয়ের ভালো ফলন দেখে অন্য কৃষকরাও এ উচ্চ ফলনশীল সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

দিনবদলবিডি/Nasim

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়