উপজেলা নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি কি আহম্মকি করছে?

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:১২, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

  • উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির
  • অংশ নিলে যেসব সুবিধা হতে পারতো
  •  এখন রাজনৈতিক আবরণ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার শঙ্কা
  • প্রকৃত রাজনীবিদের দায়িত্ব
  • সরকারের ভীত গড়তে সহায়ক স্থানীয় নির্বাচন
  • ব্যক্তি ও দলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর সুযোগ

 

 

 

যখনি বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন আসে সেটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন হোক বা জাতীয় সেখানে বিএনপিসহ বিরোধীরা যাওয়া উচিৎ নাকি অনুচিৎ এই বিতর্কটা অবধারিতভাবেই আসে। এবারও তার ব্যতীক্রম হয়নি। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এবারও নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি, যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

কেউ কেউ বলছেন, যেহেতু জাতীয় নির্বাচন চলে গেল এবং  বিএনপি এই সমস্ত স্থানীয় নির্বাচনেও যাচ্ছেনা সেহেতু পুরো রাজনৈতিক আবরণ থেকে বেরিয়ে গেল দলটি। এটা অব্যশই দলের জন্য ক্ষতি হবে। তারা যুক্তি দাঁড় করিয়ে বলছেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে দলের নেতাকর্মীরা নিঃসন্দেহে চাঙ্গা হবে। তারা সমর্থকদের কাছে যেতে পারবে। অর্থাৎ তারা একটি রাজনৈতিক স্পেস পাবে, যার মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রমও গুছিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

তবে বিএনপির অভিযোগ সরকারের অধিনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়না। আর এক্ষেত্রেও যদি এটা প্রমাণ করতে হয় তাহলেওতো নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সেই সুযোগটাও হাতছাড়া হবে। এহেন পরিস্থিতিতে দলটির নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বোকামি বা আহাম্মকি ছাড়া আর কিছুই নয়।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় নেই বিএনপি। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা এখন জনবিচ্ছিন্ন। এটাতো হতে পারে না। কারণ জনগণের স্বার্থের জন্যই রাজনীতি। তাদের ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব একজন প্রকৃত রাজনীবিদের দায়িত্ব। সুতরাং এ দায়িত্ব পালন করতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিকল্প নেই।    

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে দেশের সামগ্রীক মানুষের মতের ভিত্তিতে একটি সরকার গঠিত হয়। কিন্তু স্থানীয় নির্বাচনে সেই সরকারের ভিত গড়তে অনেকটা সহায়ক হয়। যেমন একজন স্থানীয় চেয়ারম্যান সহজেই সাধারণ মানুষের সান্নিধ্যে থাকতে পারেন। বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের কাছে দলের অবস্থান তুলে ধরতে পারেন। এতে করে ব্যক্তি ও দলের প্রতি সকলের কাছেই একটি আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়। এখন বিএনপির যেহেতু বড় একটি সমর্থক রয়েছে, হতে পারে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে এই সুযোগটি পেতে পারে। কাজেই এসব বিষয় নিয়ে দলটির আরও ভাবা উচিৎ বলেও জানান ওই অধ্যাপক।

দিনবদলবিডি/Rakib

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়