২৫ দিন পর মরদেহ উদ্ধার

হত্যার পর ছাত্রলীগ নেতার মরদেহে ইট বেঁধে নদীতে নিক্ষেপ

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১১:৪০, বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

কিশোরগঞ্জে অপহরণের পর খুন হয়েছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। নিখোঁজের ২৫ দিন পর তার গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে জেলার গুরুদয়াল কলেজ ওয়াচটাওয়ার সংলগ্ন নরসুন্দা নদী থেকে মোখলেছ উদ্দিন ভূইয়ার (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মোখলেছ জেলার মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোর ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। মোখলেছ কেওয়ারজোর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও মোখলেছ কিশোরগঞ্জ জজ কোর্টে চুক্তিভিত্তিক পেশকারের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।


নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ রাত আনুমানিক ৯টার দিকে শহরের হারুয়া বউবাজার এলাকা থেকে মোখলেছুর নিখোঁজ হন। ১ এপ্রিল মোখলেছুরের পরিবার কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। পরে পুলিশ নিখোঁজ মোখলেছুরকে খুঁজতে থাকে। ১৬ এপ্রিল নিহতের স্বজনরা একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে টানা ৬ দিন অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত এক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার আসামির দেওয়া তথ্যমতে সোম (২২ এপ্রিল) ও মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় দু’দিন অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। পরে বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

নিহত মোখলেছ উদ্দিন ভূঁইয়ার বড় ভাই আশরাফ আলী জানান, ৩ মাস ধরে মোখলেছ কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া বউবাজার এলাকার চুন্নু মিয়ার বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। গত ২৯ মার্চ ভাড়া বাসা থেকে আনুমানিক রাত ৯টার দিকে নিখোঁজ হন। তার সর্বশেষ অবস্থান রাস্তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত হয়। এই সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজে তার সঙ্গে কয়েকজন বন্ধুকে দেখা যায়। তার ধারণা বন্ধুরা তাকে অপহরণ করে খুন করেছে।

সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে মিঠামইনের কেওয়ারজোর ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের শেফুল শেখ (৬৫), তার তিন ছেলে মিজান শেখ (২৮), মারজান শেখ (২৬) ও রায়হান শেখকে (২১) হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ডিবি ও পুলিশের একটি দল যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। পরে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা মোখলেছকে হত্যা করে মরদেহে ইটের ব্লক বেঁধে নরসুন্দা নদীতে ফেলে দিয়েছেন বলে জানান।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন জানান, নিহত মোখলেছ উদ্দিন মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোর ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিবেদিত একজন কর্মী ছিলেন। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকলকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। একজন ছাত্রলীগ নেতার এমন মৃত্যু আমাদের ব্যাথিত করেছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, ছাত্রলীগ নেতা মোখলেস উদ্দিন ভূঁইয়াকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে করে হত্যার পর দেহের সঙ্গে ভারী বস্তু বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হবে।

দিনবদলবিডি/Nasim

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়