শ্রমিকরা জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে : স্পিকার
দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোনত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে। শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাই শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।
আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিকদের কল্যাণে কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশ আজ স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে চলেছে। দেশে ব্যাপক শিল্পায়ন হচ্ছে, রপ্তানি বাণিজ্য বিকাশ লাভ করছে এবং তৈরি পোশাক শিল্প, ওষুধ শিল্প ও আইসিটি খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন ও শ্রম আইন বিধিমালায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।
শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিক অধিকার। উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে।’
শ্রমিকরা দীর্ঘ সময় কর্মস্থলে অতিবাহিত করেন উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ‘তাই শ্রমিকদের কর্মস্থলে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস, সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও আরামদায়ক পোশাকের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ অনুকূল রাখতে সকলকে সচেতন হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ল্যাকটেটিং মায়েদের জন্য ভাতা চালু করেছেন। প্রত্যেক দপ্তরে শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নারী শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নত করার দিকে সকলকে দৃষ্টি দিতে হবে।’
‘সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ, গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ’ - জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবসের প্রতিপাদ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে স্পিকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
এ সময় ২৯টি ফ্যাক্টরিকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ দেওয়া হয়। স্পিকার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. আব্দুর রহিম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পোটিআইনেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশীর কবির, বিজেএমইএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম, বিকেএমইএ’র সিনিয়র সহসভাপতি মানসুর আহমেদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএম ইব্রাহীম এমপি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি বক্তব্য প্রদান করেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রতিনিধিবৃন্দ, জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ, শ্রমিকবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ গণমাধ্যম কর্মীরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দিনবদলবিডি/Rabiul