সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টের রুল

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ রাত ০৮:৪৮, মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার (৭ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চে রুল জারি করেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

রুলে সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে (ব্যক্তি মালিকানাধীন গাছ ছাড়া) ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ দেওয়ার বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে সাতদিনের মধ্যে পরিবেশবাদী সংগঠন, পরিবেশ বিজ্ঞানী, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের প্রফেসরের সমন্বয়ে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাতদিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাতদিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী সংগঠন, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডির এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারে সমন্বয়ে কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না; কমিটি গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত সব বিবাদীদের নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয়, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

দুই সপ্তাহের মধ্যে কেবিনেট বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকার দুই সিটি মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিটের বিষয়ে সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সম্প্রতি তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এ রিট করা হয়।

এইচআরপিবির পক্ষে রিট পিটিশন করেন আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং রিপন বাড়ৈ।

রিটে এইচআরপিবির পক্ষে দাবি করা হয়, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতি তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। যে কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারাদেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে, যা বন্ধ না হলে দেশে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে এবং মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়