অবিশ্বাস্যভাবে দুই সন্তানসহ বেঁচে আছি
দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
হঠাৎ ভূমিকম্পের মতো গাড়িতে তীব্র ঝাঁকুনি। পেছনের সিটে বসে থাকা ছেলেমেয়ের আর্তচিৎকার। গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে চুরমার। সামনে ও পেছনে দুমড়ে মুচড়ে একাকার। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহবল হয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি ছেলেমেয়েরা ভয়ে তর তর করে কাঁপছে। তখনও বিশ্বাস হচ্ছিলনা যে সকলেই অক্ষত রয়েছি। আল্লাহর দরবারে হাজারো শুকরিয়া।
গতকাল (সোমবার) বিকেলে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে শেখ হাসিনা বার্ন ইনষ্টিটিউট অভিমুখে নামার পথে দ্রুতগামি অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার পেছন থেকে দ্রুতবেগে গাড়িতে সজোরে আঘাত করলে গাড়িটি সামনে পেছনে দুমড়ে মুচড়ে যায়। সৌভাগ্যেক্রমে দুইসন্তানসহ অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে যাই। তবে ট্রমা এখনও কাটেনি।
যে উঠতি বয়সি তরুন অ্যাম্বুলেন্সটি চালাচ্ছিল তার ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। গাড়ির কাগজপত্রও ঠিক নেই।অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে মালিককে খবর পাঠালে সে এসে গাড়ির অবস্থা দেখে হতবাক হয়ে যায় ও দু:খ প্রকাশ করে। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম কিভাবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া গাড়িটি চলছে, কেনইবা লাইসেন্স ছাড়া একজন কথিত ড্রাইভার দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালাতে দিয়েছেন। তার সহজ স্বীকারোক্তি ৯০শতাংশ অ্যাম্বুলেন্সই নাকি এভাবে চলে। এ সব অনিয়ম দেখার দায়িত্ব আসলে কার? সন্তানসহ আমি মারা গেলে নিছক দুর্ঘটনা বলেই কি এরা পার পেয়ে যেতো? এভাবে আর কতকাল চলবে???
-মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
দিনবদলবিডি/এমআর