গাড়ি পার্কিং নিয়ে ঝগড়া, কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির গাড়ি ভাঙচুর

কৌতুক অভিনেতা আরও বলেন, “আমরা সেখান থেকে দৌড়ে না পালালে আমাদের মেরেই ফেলত। পরে পুলিশকে ফোন দিলে তারা এসে আমাদের উদ্ধার করে। আমি এই অন্যায় হামলার সঠিক বিচার চাই। মারপিটের কারণে আমাদের দু’জনের অবস্থা বেশি খারাপ।”

নাটোরের গুরুদাসপুরে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিকে মারপিট এবং তার ব্যবহৃত  গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় রনির সাথে থাকা আরও  চারজন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারে একটি সিনেমা হলের সামনে। আহত বাকিদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।

নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিলদহর গ্রামে রনির বাড়ি। আবু হেনা রনি জানান, আমরা সিনেমা দেখার জন্য সিংড়ার  বিলদহর থেকে পাঁচজন চাঁচকৈড় এসে গাড়িটা সিনেমা হলের সামনে রাস্তার পাশে পার্কিং করি। এ সময় একটি প্রাইভেট কার সেখানে এসে রাস্তার পাশের জায়গায় গাড়ি পার্কিং করতে দেখে গালাগালি করতে থাকে। এ সময় আমি তাকে  বললাম, রাস্তার পাশেই তো গাড়ি আছে, গালি দিচ্ছেন কেন? এই কথা বলার পর আবার সাবলু মোল্লা নামের ওই ব্যক্তি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে করতে মারপিট শুরু করে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের বাধা দেয়।

রনি বলেন, সাবলু মোল্লা মোবাইল করলে আরও আট-দশজন মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে আসেন। তারা তখন আমাদের ওপর আবারও হামলা চালায়। বাটাম দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে ও গাড়ি ভাঙচুর করে।

কৌতুক অভিনেতা আরও বলেন, “আমরা সেখান থেকে দৌড়ে না পালালে আমাদের মেরেই ফেলত। পরে পুলিশকে ফোন দিলে তারা এসে আমাদের উদ্ধার করে। আমি এই অন্যায় হামলার সঠিক বিচার চাই। মারপিটের কারণে আমাদের দু’জনের অবস্থা বেশি খারাপ।”

জানা গেছে, অভিযুক্ত সাবলু মোল্লার বাড়ি উপজেলার গাড়িষাপাড়ার এলাকায়।

আদম শাহ মোড়ের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, পুলিশ তাদের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিতে এসেছিল। কিন্তু মারামারির সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ওই সময় বাদে অন্যান্য সময়ের ফুটেজ পুলিশ চেক করেছে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে সাবলু মোল্লার মোবাইলে কয়েকবার ফোন দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, “পার্কিং নিয়ে কথাকাটির একপর্যায়ে গাড়ি ভাঙচুর ও মারপিট করা হয়েছে। এ ঘটনায় আবু হেনা রনি বাদী হয়ে মামলা করছেন। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।