মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদন

সুইজারল্যান্ড থেকে আসছে এক কার্গো এলএনজি

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৫৭, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪, ৯ মাঘ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার থেকে থেকে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ (ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া আসন্ন রমজানে নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবির কার্যক্রম বাড়াবে সরকার। এ জন্য ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকার রাইস ব্রান অয়েল এবং মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাইস ব্রান অয়েল কেনা হবে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার। অন্যদিকে ২০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। রোজার আগেই এসব পণ্য সংগ্রহ করা হবে।

মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে নতুন সরকারের সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিন লটে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান মজুমদার প্রডাক্ট, মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস এবং আলী নেচারাল অয়েল মিলস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ভোজ্যতেল কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রতি লিটারের দাম ধরা হয়েছে ১৫৮ টাকা।


সভায় ভারতের উমা এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়, যা কিনতে ৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০১ টাকা ১৩ পয়সা। বগুড়ার রয় এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস এবং ঢাকার নাবিল নবা ফুডস থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৫ টাকা ৪৫ পয়সা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির জন্য চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ২৮ কোটি ৮০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে ১৫ কোটি ৪৫ লাখ লিটার ইতিমধ্যে কেনা হয়েছে। এছাড়া ২ লাখ ৮৮ হাজার টন ডাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টন কেনা হয়েছে।

রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত রোববার অর্থমন্ত্রী প্রথমবারের মত সংশ্লিষ্ট চার মন্ত্রীকে নিয়ে সভা করেছেন। সভায় ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুরসহ আমদানি নির্ভর ভোগ্যপণ্যের শুল্ক কমানোর সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে ভোগ্যপণ্য আমদানিতে পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহ নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়।  ডলার নিশ্চিত করা না গেলে অন্যান্য মুদ্রায় আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে উৎপাদন ও আমদানি পর্যায় থেকে ভোক্তা পর্যন্ত যৌক্তিক পণ্যমূল্য নির্ধারণে বাজার মনিটরিং জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।

স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কাফকো, সৌদি আরব, রাশিয়া, কাতার ও মরক্কো থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টন সার কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টন ইউরিয়া, ৮০ হাজার টন ডিএপি, ৩০ হাজার টন টিএসপি এবং ৩০ হাজার টন এমওপি রয়েছে। এসব সার আমদানিতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা।

সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার থেকে থেকে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ (ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৪৭০ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার ১৬০ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এর দাম পড়বে ১০ দশমিক ৮৮ মার্কিন ডলার।

দিনবদলবিডি/Hossain

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়