এক মাসে সর্বোচ্চ পোশাক রপ্তানি

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১১:১৫, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ২২ মাঘ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

তৈরি পোশাকে ভর করে দেশের রপ্তানি আয়ে রেকর্ড হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে রপ্তানি হয়েছে ৫৭২ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের পণ্য। প্রবৃদ্ধি এসেছে ১১.৪৫ শতাংশ। এর মধ্যে শুধু তৈরি পোশাক রপ্তানিই ছিল ৪৯৭ কোটি ১৮ লাখ ডলার।

বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, একক মাস হিসেবে পোশাক খাতে এটিই সর্বোচ্চ রপ্তানি।

অন্যদিকে গত বছরের জানুয়ারিতে মোট পণ্য রপ্তানি হয়েছিল প্রায় ৫১৪ কোটি ডলারের। সেই হিসাবে গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে রপ্তানি বেড়েছে ৫৮ কোটি ডলার। গতকাল রবিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানির হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার ৩২৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল তিন হাজার ২৪৫ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে সামগ্রিক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.৫২ শতাংশ। তবে উল্লিখিত সাত মাসের জন্য সরকার রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল, সেটি পূরণ হয়নি।

গত জুলাই থেকে জানুয়ারি সময়ের জন্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তিন হাজার ৫৮৮ কোটি ডলারের।

ইপিবির তথ্যে আরো দেখা যায়, দেশের রপ্তানি আয়ের বড় খাত তৈরি পোশাকে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩.৪৫ শতাংশ। এ সাত মাসে পোশাক রপ্তানি হয়েছে দুই হাজার ৮৩৬ কোটি ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৭৪২ কোটি ডলার। পোশাকের রপ্তানির ওপর ভর করে সার্বিক রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।

বিজিএমইএর তথ্য অনুসারে একক মাস হিসেবে জানুয়ারিতে ৪৯৭ কোটি ডলার আয় হয়েছে, যা এর আগে কখনো হয়নি। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২.৪৫ শতাংশ।

অন্য প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও হস্তশিল্পে। এ ছাড়া ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং পাট ও পাটজাত পণ্যে। এ সময়ে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৫৪ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.৪৪ শতাংশ। প্লাস্টিক খাতে আয় হয়েছে ১৪ কোটি ১৩ লাখ ডলার। আগের বছর ছিল ১২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫.৪৮ শতাংশ। চলতি বছরের সরকারের বর্ষ পণ্য হস্তশিল্প থেকে আয় এসেছে প্রায় দুই কোটি ডলার। আগের বছর ছিল এক কোটি ৭১ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬.৫৭ শতাংশ।

ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে হিমায়িত ও জীবন্ত মাছে। চলতি অর্থবছরের সাত মাসে এ খাত থেকে আয় এসেছে ২৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার। আগের বছর যা ছিল ২৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার। কম হয়েছে ১৪.৯ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে আয় এসেছে ৬২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর আগের বছর ছিল ৭৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এ খাতে আয় কমেছে ১৪.৩৩ শতাংশ। এ ছাড়া চামড়া পাদুকা থেকে রপ্তানি আয় কমেছে ২৬.৪৩ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্যে রপ্তানি আয় কমেছে ৬.৮৫ শতাংশ। এ সময় আয় হয়েছে ৫১ কোটি ডলার। এর আগের বছর ছিল ৫৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

বিজিএমইএ সভাপতি মো. ফারুক হাসান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি, সুদের হার বৃদ্ধি এবং ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন এসবের পরও আমাদের উদ্যোক্তারা ভালো করছেন। বলা যায়, বাংলাদেশের পোশাক খাত রেকর্ড ভাঙছে এবং রেকর্ড গড়ছে। ডেনিম পোশাক বিশ্বের প্রথম, সুতার তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রথম এবং একক মাস হিসেবে জানুয়ারিতে প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের নতুন রেকর্ড। সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিংয়ের ফলে আমাদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে। এই সবগুলো কাজ করছে।’

দিনবদলবিডি/Jannat

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়