বিএনপিকে ব্যবহার করে নির্বাচন বানচাল করতে চায় সুশীলরা

সুপ্তমত মুক্তমত ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:৪৫, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২, ২৫ কার্তিক ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

আগামী নির্বাচন যদি শেষ পর্যন্ত বানচাল করা যায় তাহলে এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি বা সুশীলদের নিয়ন্ত্রিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। সেজন্যই সুশীলরা সেদিকেই মনোনিবেশ করেছেন…

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গন সরগরম। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না।

সম্প্রতি মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় ছিল সুশীলদের সঙ্গে বৈঠক। এটি নিয়ে মার্কিন দূতাবাস বা সুশীলদের কেউই কথা বলেননি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সুশীল সমাজের সঙ্গে কাজ করছে।

এদিকে সুশীল সমাজ আগামী নির্বাচন নিয়ে কী করতে চায়, সে ব্যাপারটিও ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে। সুশীল সমাজের মধ্যে একটি অংশ আগামী নির্বাচন বানচাল করতে চায়- এমন সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণ এখন ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। কারণ, আগামী নির্বাচন যদি শেষ পর্যন্ত বানচাল করা যায় তাহলে এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি বা সুশীলদের নিয়ন্ত্রিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। সেজন্যই সুশীলরা সেদিকেই মনোনিবেশ করেছেন।

বর্তমানে সুশীল সমাজের একটি অংশ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একাধারে সরকারের সমালোচনা করছে, নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করছে এবং ইভিএমের সমালোচনা করছে। ড. ইউনূস, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. আসিফ নজরুল, ড. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানরা বাংলাদেশে যেন আগামী নির্বাচন না হয়, সেজন্য একাট্টা হয়েছেন। এক্ষেত্রে তারা বিএনপিকে ব্যবহার করছে।

সম্প্রতি সুশীলদের নিয়ন্ত্রিত পত্রিকাগুলো বিএনপির আন্দোলন এবং সমাবেশের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করছে এবং এক ধরনের বিএনপির মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে অন্তত দুটি সুশীল নিয়ন্ত্রিত দৈনিক।

এ পত্রিকাগুলো বিএনপির আন্দোলনকে বেগবান করার ক্ষেত্রে যা যা করণীয় তার সবকিছুই করছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, সুশীলরা বিএনপিকে মাঠে নামিয়ে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন কাজে প্রশংসিত হলেও সুশীলরা সমালোচনা করছে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করাও তাদের উদ্দেশ্য।

পাশাপাশি ইভিএম নিয়েও সমালোচনা করছেন তারা। একইভাবে অর্থনৈতিক নানা সংকটে সরকার, এমন কথাবার্তা বলে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে সুশীলরা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে, যেখানে বিএনপিসহ আরো অন্যান্য বিরোধী দল নির্বাচন না করার ব্যাপারে একটি কঠোর অবস্থানে যায় আর আওয়ামী লীগ যেন নির্বাচনের ব্যাপারে সম্পূর্ণ একঘরে হয়ে পড়ে। 

(সূত্র: সামাজিক মাধ্যম থেকে সংগৃহীত)

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়