৭ মার্চের ভাষণ শুধু ঐতিহাসিক নয়, আন্তর্জাতিক সম্পদ

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ রাত ১২:১০, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪, ২২ ফাল্গুন ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ৭ মার্চ ভাষণের বৈশ্বিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য উদ্যোগ নেয়। ওই বছরের ৩০ মার্চ এ সংক্রান্ত একটি ফাইলে আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 

 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু ঐতিহাসিকই নয়, এখন আন্তর্জাতিক সম্পদও বটে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো এই ভাষণকে 'বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য' হিসেবে  স্বীকৃতি দেয়।

বলা বাহুল্য, বিশ্বজুড়ে যেসব তথ্যভিত্তিক ঐতিহ্য রয়েছে সেগুলোকে সংরক্ষণ এবং পরবর্তী প্রজন্ম যাতে তা থেকে উপকৃত হতে পারে সে লক্ষ্যেই এ তালিকা করে ইউনেস্কো। তেমনই একটি ঐতিহ্য বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি। এই ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েই বাঙালি জাতি পরাধীনতার শিকল ভেঙে নিজেদের অধিকার আদায় করতে সক্ষম হয়।    

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভাষণের বৈশ্বিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য উদ্যোগ নেয়। ওই বছরের ৩০ মার্চ এ সংক্রান্ত একটি ফাইলে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরই অংশ হিসেবে ২০১১ সালে ইন্দোনেশিয়ায় আয়োজিত এক কর্মশালায় ভাষণটির ওপর একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বিএনসিইউয়ের তৎকালীন প্রোগ্রাম অফিসার ও শিক্ষাবিদ রোকেয়া খাতুন।‘সেকেন্ড রিজিওনাল ট্রেনিং ওয়ার্কশপ অন দ্য ইউনেস্কো, মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডের’ বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে ওই কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

একটি জাদুকরী ভাষণ কীভাবে একটি দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে পারে ওই প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তা তুলে ধরা হয়। বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় ভাষণের ওপর তৈরি প্রেজেনটেশনটি ব্যাপক প্রশংসা পায়। এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ভাষণটিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।

দিনবদলবিডি/Rakib

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়