কোরবানির মাংস ভাগের নিয়ম

ইসলামি ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:৫১, বুধবার, ২৮ জুন, ২০২৩, ১৪ আষাঢ় ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। ঈদুল আজহা যাকে কোরবানি ঈদও বলা হয়। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে মুমিন মুসলমানরা এই ঈদে পশু কোরবানি করেন। পশু কোরবানির ফলে মুমিনের কলব হয় পরিশুদ্ধ। আর এটাই কোরবানির উদ্দেশ্য।

কোরবানি করা পশুর মাংস ভাগ করার নিয়ম রয়েছে, যা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরবানির পশুর মাংস ভাগ করার নিয়ম স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহুতায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত—রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরবানির মাংস এক ভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন। এক ভাগ গরিব প্রতিবেশীদের দিতেন আর এক ভাগ গরিব মিসকিনদের দিতেন।

কোরবানির মাংস সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা কোরআনুল কারিমে বলেন, তোমরা উহা হতে আহার করো এবং দুস্থ অভাবগ্রস্তদের আহার করাও (সুরা হজ, আয়াত ২৮)। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরবানি সম্পর্কে বলেছেন, তোমরা নিজেরা খাও এবং অন্যদের আহার করাও আর সংরক্ষণ করো (বোখারি হাদিস ৫৫ ৬৯)।

কোরআনের অন্য জায়গায় বর্ণিত হয়েছে, সারিবদ্ধভাবে কোরবানির যন্ত্র বাঁধা অবস্থায় তাদের জবাই করার সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করো। অতঃপর যখন তারা কাত হয়ে পড়ে যায়, তখন তোমরা তা থেকে আহার করো এবং আহার করাও (সুরা হজ, আয়াত ৩৬)।

কোরবানির পশুর গোশত নিজে খেতে গরিব অসহায় দরিদ্রদের খাওয়াতে ইসলাম উদ্বুদ্ধ করেছে। যাতে মুসলিম সমাজে বৈষম্য তৈরি না হয়ে, পরস্পরে আন্তরিকতার বন্ধন সৃষ্টি হয়। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ভাগের নির্দিষ্ট পরিমাণ জানা না গেলেও, সাহাবায়ে কেরাম থেকে তার দলিল পাওয়া যায়।

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহুতায়ালা আনহু বলেন, কোরবানির পশুর এক-তৃতীয়াংশ পরিবারের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়-প্রতিবেশীর জন্য, এক-তৃতীয়াংশ মিসকিনদের জন্য। আরেক বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত সাহাবি ইবনে মাসুদ রাদিয়াল্লাহুতায়ালা আনহু, তার কোরবানির পশুর মাংসের তিনটি ভাগ করতেন, এক ভাগ নিজেরা খেতেন, এক ভাগ যাকে ইচ্ছে তাকে খাওয়াতেন এবং এক ভাগ ফকির মিসকিনদের খাওয়াতেন। হাদিসে ভাগের কথা পাওয়া যাওয়া সত্ত্বেও যদি কোনো ব্যক্তি কোরবানির সমুদয় গোশত একাকী ভক্ষণ করেন, তবুও তার কোরবানি বৈধ হবে। তবে এটা চরম বখিলতার নিদর্শন, যা নববী শিক্ষার পরিপন্থি। প্রকৃত ইমানদারের কাছ থেকে প্রকাশিত হওয়া সম্ভব নয়।

দিনবদলবিডি/Rabiul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়