রোহিঙ্গাদের ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ, নাগরিকত্ব প্ৰদানের চাপ: কি করবে বাংলাদেশ?

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ০৮:০০, শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৩, ১০ ভাদ্র ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

বৈবাহিক সূত্রে নাগরিকত্বের বিধানও রয়েছে বাংলাদেশে। কোনো রোহিঙ্গা যদি বাংলাদেশি নাগরিককে বিয়ে করে এবং সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে তাদের নবজাতক বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পাবে। সেকারণে ইতিমধ্যে বহু রোহিঙ্গা নারী বাংলাদেশী ছেলেদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন বলে জানা গেছে। ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশী নাগরিকত্ব ঠেকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যেতে পারে, যদিও রোহিঙ্গাদের বিয়ে করার ব্যাপারে নজরদারির কথা শোনা যাচ্ছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর অভিযান শুরু করেছিল দেশটির সামরিক বাহিনী। এর ছয় বছর পূর্ণ হলো আজ। এমতাবস্থায় গত ২২ আগস্ট, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে 'বাংলাদেশে থাকা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে।  ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এখন ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরে হামাগুড়ি দিচ্ছে।'

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার( UNHCR) এর প্রতিবেদনেও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহুবিধ সঙ্কটজনিত সমস্যার বহুগুণ বৃদ্ধি এবং এর পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় জরুরি সহায়তার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নইলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

সহায়তা হ্রাসের কারণে ইতিমধ্যে অপুষ্টির হার বৃদ্ধি ও সুস্থতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে এবং শিশু শ্রম ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার মতো পরিণতি নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে জানায় সংস্থাটি।

মূলত: বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তের উভয় পাশে থাকা রোহিঙ্গারা বিরাষ্ট্রীয় পরিস্থিতির মধ্যে আটকা পড়ে আছে; তারা মৌলিক অধিকার থেকেই বঞ্চিত। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে একটি মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবর্তনই এই সংকটের প্রাথমিক সমাধান। অনেক রোহিঙ্গাই নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়, যখন তাদের জন্য স্বেচ্ছায় তা করা নিরাপদ হয়, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন বলা যায়। মূল বিষয়কে চিহ্নিত না করে পদক্ষেপ গ্রহণ, জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের নিষ্ক্রিয়তা ও ত্রাণ কমিয়ে দেওয়া রোহিঙ্গাদের আরও জটিল পরিস্থিতির মধ্যে ফেলছে।

'রোহিঙ্গা শরণার্থী কার্যক্রম' একটি গুরুতর তহবিল সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে, যা সাম্প্রতিক দুটি খাদ্য সহায়তা হ্রাস দ্বারা চিত্রিত হয়েছে। কাজেই রোহিঙ্গাদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিনিয়োগ করার জরুরি প্রয়োজন রয়েছে, কারণ তারা মানবিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল থাকতে পারে না এবং করতে চায় না।

বাংলাদেশ তার সীমিত সামর্থের মধ্যেও মানবিক প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং উদারতা প্রদর্শন করে চলেছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকার করেন বটে, কিন্তু প্রতিশ্রুত অর্থ সহায়তা বৃদ্ধি না করে কমিয়ে দেয়ায় শুধু শরণার্থীরাই নয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিও যে ভয়াবহ সঙ্কটে পড়বে তারা কি সেটা বোঝেন না?

সহায়তা কমিয়ে দেয়ায় একদিকে যেমন মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণ অসম্ভব হয়ে পড়ছে, অন্যদিকে এর অন্তর্নিহিত প্রভাবে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি এমনকি সন্ত্রাসী গ্রুপও আবির্ভুত হয়েছে, যারা বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের বিপথে চালিত করছে। এমনকি রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করে নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠারও চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোহিঙ্গা শিবিরে নিজস্ব মুদ্রা চালুর প্রচেষ্টা, পতাকা তৈরি ও উড্ডয়ন এর অন্যতম উদাহরণ। এর সাথে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতিশ্রুত অর্থ বৃদ্ধি না করে হ্রাস করা এবং তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের বদলে নাগরিকত্ব প্রদানের আবদার বাংলাদেশের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। কেন না বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা এ দেশের নাগরিকত্ব পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে তারা আন্তর্জাতিক মহলে একাধিক দেশের প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে বলে জানা গেছে। সূত্রমতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি মহল এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা করার আশ্বাসও দিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের দেশবিরোধী কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা বৃদ্ধির বদলে কমিয়ে দেয়া, উপরন্ত নাগরিকত্ব প্রদানের দাবির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের মূল উদ্যোগ বা উদ্যেশ্যের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনিচ্ছারই স্পষ্ট প্রমাণ। অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরার সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত ক্ষীণই বলা যায়।

অন্যদিকে তাদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি জোরেশোরেই আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করেন আগত রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ঠেকিয়ে রাখলেও যেহেতু তাদের প্রত্যাবর্তনও নিশ্চিত নয় তাহলে তাদের বা তাদের নবজাতকের নাগরিকত্ব কি হবে? বাংলাদেশে জন্ম নিয়েও তারাওকি দেশহীন শিশু হিসেবে বড় হবে? এর উত্তর জানার আগে 'নাগরিকত্ব দাবি' সংক্রান্ত ধারণা থাকা জরুরি। সব দেশের নাগরিকত্ব দাবি বা প্রদান এক রকম নয়।

১৯৮৩ সালের আগে ব্রিটেনে কারো জন্ম হলেই জন্মসূত্রে তাকে ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হতো। কিন্তু ১৯৮৩ সালের পর ব্রিটেন জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব প্রথা তুলে দেয়। পিতা-মাতার কেউ একজন অন্তত নাগরিকত্ব বা স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি না থাকলে সন্তানও ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাবে না, এমন নিয়ম চালু করা হয়। অথবা ব্রিটেনে জন্ম নেওয়া শিশুটি অন্তত সাত বছর ব্রিটেনে বসবাস করার পর ব্রিটেনে থাকার অনুমতি পাবে। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আইনটি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব আইনের অনুসরণে তৈরি করা বিধায় ব্রিটিশ নাগরিকত্বের বিষয়টি বলছি পাঠকদের সুবিধার জন্য।

নোম্যান্স ল্যান্ডে বা শরণার্থী ক্যাম্পে জন্ম নেয়া রোহিঙ্গা পিতা-মাতার সন্তান রোহিঙ্গাই হবার কথা, তাদের তো বাঙালি হবার কথা নয়! এই শিশুরা তাহলে কোন দেশের নাগরিক? উত্তর হলো, রোহিঙ্গারা যে দেশের নাগরিক তারাও সেই দেশেরই নাগরিক। রোহিঙ্গা শিশুদের বাবা-মা উভয়ই যদি বাংলাদেশের নাগরিক না হন, তাহলে বাংলাদেশ সীমান্তে বা শরণার্থী ক্যাম্পে জন্ম নেওয়া শিশুটির নাগরিকত্বও তার বাবা-মায়ের নাগরিকত্বের ওপর নির্ভর করবে।

'ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার ফর রিফিউজি'র তথ্য অনুয়ায়ী, রোহিঙ্গারা আসলে স্টেটলেস বা দেশহীন। মিয়ানমারের ১৩৫ টি  ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার তালিকায় রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। বাংলাদেশে আসার আগে থেকেই রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যে দেশহীন হিসেবে বসবাস করে আসছিল। রোহিঙ্গারা যেহেতু দেশহীন তাই তাদের সন্তান ও তাদের পরিবারে জন্ম নেওয়া ভবিষ্যতের সন্তানটিও দেশহীন হয়ে জন্ম নেবে। সে যেখানেই জন্ম নিক, সেটি হতে পারে মিয়ানমার, বাংলাদেশ কিংবা নোম্যান্স ল্যান্ড অথবা শরণার্থী ক্যাম্পে। তাহলে এই রোহিঙ্গারা তো বাংলাদেশে বছরের পর বছর থাকছে, সম্প্রতি আসা রোহিঙ্গাদের কবে মিয়ানমার সরকার ফেরত নেবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।

তাহলে অনন্তকাল কি এই রোহিঙ্গারা দেশহীন থেকে যাবে? সেই সূত্র ধরে আবারো ব্রিটেনের প্রসঙ্গে ফিরে আসি। ব্রিটেনে রিফিউজিরা ৫ বছর থাকার পর স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন করতে পারে। সেই অর্থে আরও এক বছর 'ন্যাচারালাইজেশন' করার পর সে নাগরিকত্ব পেতে পারে। তাছাড়া একজন রিফিউজির নাগরিক হিসেবে সকল প্রকার সুবিধা পাবার অধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে জেনেভা কনভেনশনে।

ব্রিটেন রিফিউজি অ্যাক্ট ১৯৫১ ও জাতিসংঘের ট্রিটি ১৯৬৭-এ স্বাক্ষরকারী দেশ হওয়ায় শরণার্থী নিতে বাধ্য এবং শরণার্থীদের নাগরিক সুবিধা দেওয়ার ব্যপারেও ব্রিটেনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই বিশ্বের যে সকল দেশ জাতিসংঘের এই চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছে তারাই রিফিউজি নিতে বাধ্য থাকবে এবং চুক্তি অনুযায়ী শরণার্থীদের সকল সুবিধা দেবে। বাংলাদেশ যেহেতু এই চুক্তির স্বাক্ষরকারী দেশ না, তাই রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে মানতে বাংলাদেশ বাধ্য নয়। তেমনি এই শরণার্থীরাও ভবিষ্যতে বাংলাদেশে রিফিউজি হিসেবে সকল নাগরিক সুবিধা দাবি করতে পারবে না।

তবে এর মাঝে একটা 'কিন্তু' আছে। ১৯২৬ সালের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব আইন যেটা পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে সংশোধিত হয়েছে, সেখানে বলা আছে, বাংলাদেশ সরকার চাইলে যে কোনও দেশের নাগরিককে তার অবস্থা বিবেচনা করে নাগরিকত্ব দিতে পারে। এখন রোহিঙ্গাদের অবস্থা বিবেচনা করে সরকার এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শিশুদের নাগরিকত্ব দেবে কিনা সেটি সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের বিবেচনার বিষয়। তবে এই শিশুরা যদি ৭ বছর বাংলাদেশে অবস্থান করে তাহলে তারা বাংলাদেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার অধিকার অর্জন করবে।

এছাড়া বৈবাহিক সূত্রে নাগরিকত্বের বিধানও রয়েছে বাংলাদেশে। কোনো রোহিঙ্গা যদি বাংলাদেশি নাগরিককে বিয়ে করে এবং সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে তাদের নবজাতক বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পাবে। সেকারণে ইতিমধ্যে বহু রোহিঙ্গা নারী বাংলাদেশী ছেলেদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন বলে জানা গেছে। কাজেই ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশী নাগরিকত্ব ঠেকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যেতে পারে, যদিও সরকারের তরফ থেকে রোহিঙ্গাদের বিয়ে করার ব্যাপারে এক ধরনের নজরদারির কথা শোনা যাচ্ছে।

তবে শুধু রোহিঙ্গাদের বিয়ের ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা আরোপ না করে সরকার যদি বিদেশী নাগরিক বা স্টেটলেস পিপলদের সাথে বাংলাদেশের নাগরিকদের বিবাহ বন্ধনে বাধ্যবাধকতা আরোপ করে, তাহলে রোহিঙ্গা-বাঙালি মিথ্যে বিয়ে (শ্যাম ম্যারেজ) ঠেকানো যাবে। এটি অত্যন্ত জরুরি। কেননা এই রোহিঙ্গারা যে খুব সহসা মিয়ানমারে ফিরে যাবে না সেটি নিশ্চিত।

কূটনৈতিক দর কষাকষিতে যদি আরও সময় লেগে যায় তাহলে ভবিষ্যতে এই ১০ লাখ রোহিঙ্গা দ্বিগুণ হতে খুব বেশি সময় নেবে না। জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকা এই রোহিঙ্গাদের তখন নাগরিকত্ব, মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি ভোটের অধিকারের দাবি চাওয়া অবাস্তব কিছু হবে না।

কাজেই সমূহ ভয়াবহ বিপদ থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে আন্তর্জাতিক সংস্থা বা বৈদেশিক সাহায্যের আশা না করে বা সহায়তা গ্রহণ না করে বহুবিধ সমস্যা ও সম্ভাব্য ঝুঁকি উল্লেখপূর্বক দেশের পক্ষে শরণার্থী পালনে অপারগতা প্রকাশ করে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবর্তনে সর্বোচ্চ চাপ প্রদান, এমনকি প্রয়োজনে রোহিঙ্গাদের দেশ ত্যাগের অনুরোধ করা উচিত। কেননা বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থী উদ্ভূত নেতিবাচক অর্থনৈতিক ও সামাজিক কুপ্রভাব মোকাবেলায় সক্ষম নয় এখন। এছাড়া  বাংলাদেশ  'রিফিউজি অ্যাক্ট ১৯৫১' ও 'জাতিসংঘের ট্রিটি ১৯৬৭'-এ স্বাক্ষরকারী দেশ নয় বিধায় শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বাধ্য নয়। স্বাক্ষরকারী পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে শরণার্থীদের গ্রহণ করতেও জাতিসংঘের মাধ্যমে অনুরোধ করতে পারে বাংলাদেশ।

দিনবদলবিডি/Rabiul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়